জেগে আছি নওশিন তুমি ঘুমিয়ে পড়
যতক্ষণ না ভোরের আলোরা এসে গ্রাস করে ম্রিয়মান আঁধারের কালো-
তুমি ঘুমিয়ে পড়;
সীমান্ত প্রান্তরে বসিয়েছি প্রহরা জেগে আছি শিয়রে আমি
জেগে আছি নওশিন, ঘুমাও তুমি।


কিসের ভয় নওশিন! জানালার পাশে
ঐ যে স্বচ্ছ দিঘীর পাড়, চেয়ে দেখ-
ঝাউবনেরা সেখানে সারারাত জাগে সামুদ্রিক ঢেউয়ের মতো;
আর অন্ধকারের লক্ষীপেঁচারা সব রাতমজুর হয়ে, সকচিত চাহনিতে
ভয়শূন্য অতীতের মতই দিচ্ছে পাহারা-সবিস্ময়ে!


এই ভয়ার্ত ঝঞ্ঝার রাত শেষে একদিন পূবের জানালা দিয়ে
প্রস্ফুটিত ভোরের উজ্জল আলোরা-
অতিশয় নতজানু হয়ে আসবে তোমার ঘরে;
পৃথিবীর সমস্ত অত্যাচারীরা সেদিন অনুশোচনার আগুনে পুড়ে
শুদ্ধ হতে স্বেচ্ছায় যাবে নির্বাসনে_


সেই দিনটি দেখবো বলেই দৃষ্টিশক্তি শাণিত করে
জেগে আছি তোমার সত্তার নিশানায়
জেগে আছি তোমার শিয়রের পাশে,
তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাও
তোমার কোন ভয় নেই।


২৬/৭/২০১৭