ঘনীভূত ধোঁয়ার কুণ্ডলী মাঝে নতজানু জন্ম তাদের
আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভার দাম্ভিক বলয়ে দীর্ণ বিকাশ,
বলবীর্যহীন জীবন অতৃপ্ত বেঁচে ছিল পতঙ্গের মতো!
কিন্তু আজ, রক্তে ভেজা স্বজাতির মৃত্তিকা
        তাদের সম্মুখে এসে দাঁড়িয়েছে এতদিন পর,
সুদূরের স্বপ্ন দেখিয়ে বলেছে ধর্ষিতা-
‘মুক্ত করো’_


বহুবার মরেছে তারা রাস্তায়-বহুবার গিরিখাদে, বহুবার
ক্ষুধার জ্বালায়, বহুবার বিদ্বেষে;
বহুবার মরেছে ঘৃণায়-বহুবার হতাশায়, বহুবার
অহিংস দেবতার সুচতুর ধোঁকায়।


কিন্তু আজ তারা জেগেছে আবার মৃত্তিকার আহ্বানে
                                  গিরিনদীর মোহনায়_
আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে
তারা শুধু একটি কথায় চিৎকার করে বলছে-
‘‘কেউ কী কোথাও আছো?
এই দীপ্ত হস্ত করে দিবে সশস্ত্র
কেউ কী আছো? একখানা রাইফেল তুলে দিবে হাতে?
শান্তির দেবতাকে এবার টেনেহিঁচড়ে নামাবো ফুটপাতে।’’