আজ বহু দিন পরে তার কথা মনে পড়ে
কোন এক অন্ধ মায়াজালে সীমাহীন ক্লান্তিতে
যে ছিল আমাতে মিশে সমস্ত রক্ত কণিকায়; অনুভবে,
কোঠরে লুকিয়ে রাখা ভালবাসার হৃদয়ী হয়ে;
আজ সে হারিয়ে গেছে কোন এক নিঃশর্ত সীমাহীন অজানায়।


মোহনার্ত অনুরাগে কেউ আর ডাকেনা আমায়
ইন্দ্রিয়রা তাই মুক্তি চায় আজ স্নায়ুবিক বেদনায়,
বিদীর্ণ বুক জুড়ে চৈত্রের কাঠফাটা রুক্ষ ব্যথাগুলো
বার বার জেগে ওঠে আজও।


তবুও প্রতিটি ক্ষণে প্রেত বাতাসে ভেসে
তোমাকে খুঁজবো আমি অশান্ত বদনে; সপ্তশলাক ক্ষণে
হৃৎপিণ্ডের গভীরে তোমাকে পাবার তরে
খুঁজবো দেশে দেশে সন্ন্যাসী-গেরুয়া বেশে।


আচ্ছাদিত তুষারের দেশে, কুয়াশার বিষণ্ণ চাদরে
কিংবা সমুদ্রের মাতাল হাওয়ায় অতল গহ্বরে
তোমাকে খুঁজবো আমি-
নাজাফ থেকে কাবালার সুদীর্ঘ অন্ধকার বৈরিতার মিছিলে।


যদি কখনো গভীর রাতে অশ্বত্থের চূড়া থেকে
একটি পেঁচা উড়ে এসে বলে,
তুমি লুকিয়ে আছো-
অ্যামাজন বনের অজস্র সিংহের অপ্রতিরোধ্য পাহারায়।
তখনই শকুনের বিস্তৃর্ণ ডানায় ভেসে
কিংবা জোনাকির নিঃশেষিত মিটিমিটি আলোয়
সেথায় খুঁজবো তোমায়।


অনন্ত চলার পথে
হয়ত হঠাৎ বিভ্রান্তময় ছায়াপথে এসে থমকে দাঁড়াবো একদিন;
এভারেস্টের চূড়ায় দাঁড়িয়ে তখন
বিস্তৃর্ণ শূন্যতাকে স্বাক্ষী রেখে চিৎকার করে বলবো-
তোমাকে ভালোবাসি
তোমাকে ভালবাসি
তোমাকে ভালবাসি....


হয়ত এমনি নিঃসঙ্গতার সাথে কথা বলে
কেটে যাবে বাকিটা সময়;
অবশেষে, লক্ষীচাপরের দোষঙ্গা শ্মশানে গোধূলী বেলায়
সাজাবো চিতার বাসর;
গায়ে অসহ্য জ্বালা আর ব্যথা নিয়ে
নেবো সেথায় অনন্ত বিশ্রাম।


যদি তখনই সন্ধ্যা ক্ষণে মেঘের ঘনঘটায়,
দু'ফোটা অশ্রু বেয়ে পরে গালে
পৃথিবীর সমস্ত ভালবাসা রেখেছিনু তোমারই তরে,
বুঝে নিও....