পৃথিবীর পলক থেকে দূরে শান্ত নিস্তব্ধতায়
আমি একা বসে আছি শূন্যতা সাথে,
এখানে সঙ্গি আমার মঙ্গলের নিক্ষিপ্ত রক্ত প্রজাপতি
খেলা করে এক মনে, বিস্তৃনেরও সীমানা ছেড়ে
এক ঝাঁক ঝিঁঝিঁ পোকা;
আর সঙ্গি আমার, শূন্যতার গভীরের নির্জনতার সীমাহীন উল্লাস।


এখানে ব্যস্ত তীক্ষ্ন চোখ খুঁজবেনা আমায়
খুঁজবেনা রঙধনু, খুঁজবেনা প্রাসাদ;
এখানে নিশ্বাসে বিস্মৃতির দুর্গন্ধযুক্ত স্মৃতি ভেসে উঠবেনা আর।
এখানে উঁচু উঁচু অশ্বথের সারি
দেখেনা কখনো আকাশ জয়ের স্বপ্ন
বরং নিরহংকার বেশে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
                                     মমতার গভীরের টানে।


এখানে খুঁজিনা নিজের মুখ কিংবা অন্য কারো
প্রকৃতির দৃঢ়তা খুঁজি শুধু, আর খুঁজি
চারপাশে নিস্তব্ধ পড়ে থাকা অফুরন্ত সীমাহীন নির্জনতা।
এখানে প্রশান্ত মনে শুধু চাই,
হে ছন্দের দেবতা, আমাকে কয়েকটি পান্ডুলিপি দাও
দাও শকুনের ডানার মতো দীর্ঘ কিছু লাইন
যার প্রতি পরতে লেখা থাকবে মানবতা।
‌কিন্তু কলমের ডগায় যে কলুষতা ? কি করে লিখবো তবে
অরন্য হারিয়ে যাওয়া সেই বোবা যুবতির ক্রন্দন !
কিছুই যে বলেনা সে কাঁদে শুধু একা ।


হে ছন্দের দেবতা,
আমাকে সুদীর্ঘ কিছু ছন্দ দাও
যেনো লিখতে পারি বিপন্নের ভাষা
বুঝতে পারি বোবা প্রকৃতির অব্যক্ততা।
আমিও যে লিখতে চাই স্বতন্ত্রের ভাষায়
        সবার উপরে মানুষ সত্য
              তার উপরে মানবতা
                   তার উপরে বিশ্বাস রেখো
                        অবিশ্বাসী হয়োনা কখনো।