আজ  দুপুরে  এই  শহরে  বৃষ্টি হয়ে গেলো,
পূর্ব দিগন্ত ছেয়ে ঘন কালো শ্রাবণের মেঘ
অমাবস্যার  অন্ধকার  নেমে  এনেছিলো
শহরে। এক ঘন্টাব্যাপী সে এক মুষলধারে
বৃষ্টি।


আমি তখন  দাঁড়িয়ে  ছিলাম  ফার্মগেটে
গুলিস্তান যাবো  বলে, উপায়ন্ত না  দেখে
দিলাম এক ছুট ছন্দ  সিনেমার  নিকটস্থ
ফুটওভার ব্রীজের উপর। এখানে মানুষের
ভীড় তেমনটি নেই, ব্রীজের উপর হকাররা
দোকানের  পরসা  সাজিয়েছে ।  একটি
বইয়ের দোকানও আছে সেখানে; কদিন
আগেই  এখান থেকে  একটি  সুনীলের
বই  কিনেছিলাম  মাত্র  পঁয়ত্রিশ  
টাকায়।


একেতো  ঝুম  বৃষ্টি  তার  উপর  অফিস
ছুটি বলে রাস্তায় চিরচেনা জ্যামের দৃশ্য
চোখে পড়লোনা । ফাকা রাস্তায় দু’একটি
প্রাইভেট গাড়ী দুপাশে বৃষ্টির পাখা মেলে  
মুহুর্তে ঝাঁপসা হয়ে যাচ্ছে। গাড়ীর সিটে
আরাম  করে  শুয়ে  ষোড়শীকে  কানে
এয়ারফোন  লাগিয়ে  ঝিমুতে  দেখলাম !
অথচ দেখুন, কদিনের তীব্র তাপদাহের পর
আমার গাঁয়ে যখন বৃষ্টি নামে, তখন লাজুক
নববধুও তার কিশোরি ননদিনির বৃষ্টি  স্নান
দেখে  অসহ্য  ঘামাচির  অজুহাতে
লাজুকতায় ভাসিয়ে দেয় সমস্ত উঠোন।
আর দুষ্টু কিশোরের দল ফুটো ফুটবল নিয়ে
হাঁটু সমান কাদা মাঠে দুরন্তপনায় ব্যস্ত
সারাদিন।


অবশ্য কদিন আগেও কমলাপুর বস্তিতে
একদল  টোকায়ের  ইতঃস্বত  বৃষ্টিস্নান
আমি দেখেছি ! হয়ত টোকাইগুলো শহরে
নতুন এসেছে তাই এখনো তারা শহুরে
হয়নি।