(একটি বট গাছের আত্ব জীবনীমূলক লেখা)


বৃষ্টি যখন ঝরে অঝোর ধারায়
জানালার পাশের বট গাছটি দাঁড়িয়ে থাকে
আকাশের পানে নির্বাক হয়ে।
মনে হয় বৃষ্টির আলতো পরশে লজ্জা পেয়ে
মাথা নত করে সে ।


হে বন্ধু আমার,
তোমার বয়স কতো ?
তুমি আজও তেমনি আছো
শৈশবে যেমন দেখেছি তোমায় !
বয়সের ভার নুয়ে পড়া আত্বসমর্পনকারী তুমি নও
পাল্লা দিয়েছো তুমি বয়সের তালে
ছড়িয়েছো চারপাশে অজস্র শেকড় !


ছেলে পুলে ভয় পায় তোমাকে দেখে
ওরা বলে,
প্রতি অমাবস্যার মধ্য রাতে
তুমি নাকি শুয়ে থাকো মাটিতে লুটে ?
তখন তোমার প্রতিটি শাখা জুড়ে
খেলা করে একঝাক কুৎসিত প্রেতাত্মার কঙ্কাল !


তাইতো মানুষ তোমাকে ভয় পায় উপাসনা করে
সন্ধ্যায় জ্বালায় বাতি তোমার পাদদেশে,
কেউবা সিজদা করে, কেউবা মানত করে
কেউবা মায়ের তুষ্টির আশায় প্রসাদ সাজিয়ে রাখে;
আবার কেউবা গগন বিদারী ঊলুধ্বনীতে চাপা দিতে চায়
মা কালির ধ্বংসলীলায় জলন্ত জীবন !


- বন্ধু আমার; তোমাকে মাটির দোহাই
তোমাকে কালির দোহাই, দোহাই তোমাকে শেকড়ের;
তোমার দেহে যদি সত্যিই মা কালি বাস করে
তবে আমিই বা বঞ্চিত কেনো রবো মায়ের করুণা থেকে ?


(চলবে...)