গতরাতে আকাশে পরিপূর্ণ জোসনা উঠেছিলো;
জানালা খোলা ছিলো বলে সে জোসনার ধূসর বৃষ্টি
আমার সমস্ত বিছানা ভিজিয়ে দিয়েছিলো !  তখন
কার যেনো আহ্বানে সিদ্ধার্থের মতো বেরিয়ে
এসেছিলাম আমি ঘর ছেড়ে। অতঃপর গায়ে
জোসনার বৃষ্টি মেখে, সারারাত হেঁটেছি আমি
শালবনের ধুলো মাখা পথে।


মধ্যরাতে আকাশের পানে তাকিয়ে থাকতে দেখে
চাঁদ আমাকে প্রশ্ন করেছিলো, ‘বন্ধু তুমি কবি নাকি ?
কবিরা ছাড়া কেউতো আমার দিকে সঙ্গম চোখে
তাকিয়ে থাকে না’।
কোন কথা না বলে আমি শুধু মিষ্টি করে হেসেছিলাম।  


এর আগেও অজস্র রাত আমি জোসনার ধূসর
বৃষ্টিতে ভিজেছি, কখনবা পুন্ড্র নগরীর ধ্বংসস্তুপে বসে
আবার কখনবা লক্ষী চাপরের দোষঙ্গা শ্মশানে ।
কিন্তু গত রাতের জোসনা বৃষ্টি ছিলো
আমার দেখা সবচেয়ে মোহনীয় জোসনা বৃষ্টি।
তাইতো আমি চাঁদকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘তুমিকি প্রতিরাতে
রুপ বদলাও ?’ সে শুধু ইষৎ দুলে জানিয়ে দিয়েছিলো
আমার প্রশ্নের উত্তর।


আমি জানি, চাঁদের নিজের কোন আলো নেই,
অন্যের কাছ থেকে আলো ধার করে সে অকৃপণ
মুগ্ধতায় ভাসিয়ে দেয় সমস্ত পৃথিবী !
ভাষাহীন কবিদের কলমে এনে দেয় কবিতা লেখার উপলক্ষ। তাইতো
চাঁদকে বলেছিলাম, ‘কি প্রতিদান চাও তুমি বলো ?’
সে বলেছিলো, ‘প্রতিদানের আশায় কিছু করিনা বন্ধু,
তোমরা শুধু পূর্ণিমা রাতে পৃথিবীর সমস্ত কৃত্রিম আলো
                                          নিভিয়ে দিয়ে রেখো’।