(বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা, ২ খন্ডে শেষ)


অবশেষে প্যানপেয়ারে ঘোষণা করা হলো তাঁর আগমন বার্তা;
আশা ভঙ্গের অভিশাপ থেকে মুক্তির প্রতিক্ষায় উদ্বেলিত
                                কোটি প্রাণ আনন্দে মেতে উঠলো
পূর্ব দিগন্তে যুগ যুগ ধরে জমে থাকা অমানিষার মেঘ মুহুর্তে
মিলিয়ে গেলো; দূরে ঝাপসা দেখা গেলো সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা
সুশীতল বাতাস বয়ে গেলো বাংলার এপাড় থেকে ওপাড়ে।


হ্যাঁ, ঐতো তিনি এগেয়ে যাচ্ছেন সুসজ্জিত মঞ্চের দিকে,
লাখো জনতা সপ্তর্ষি কাছে পাবার আনন্দে
করতালি দিয়ে অবিভাদন জানানো তাঁকে।
পিপিআর এর চৌকষ সেনাদল তাঁর সন্মানে গার্ড অব অনার দিলো
৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে তাকে বরণ করে নেয়া হলো।


শহীদদের পক্ষ থকে বরণ করে নেয়া হলো
মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো
বুদ্ধিজীবিদের পক্ষ থেকেও তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো,
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো
ছাত্রদের পক্ষ থেকেও তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো।


শিশুদের পক্ষ থেকে তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো
যুবকদের পক্ষ থেকেও তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো
প্রবীনদের পক্ষ থেকেও তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো।


কবিদের পক্ষ থেকে তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো
শিল্পিদের পক্ষ থেকেও তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো
কৃষকদের পক্ষ থেকেও তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো
মজুদের পক্ষ থেকেও তাঁকে বরণ করে নেয়া হলো।


এরপর কোটি জনতার পক্ষ থেকে একজন সাধারণ কৃষক
তাঁক শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য এগিয়ে গেলেন;
তাঁর সামনে স্বাধীনতার অহংকার জাতীয় পতাকা আনা হলো
সবুজে ঘেরা রক্তের লাল বৃত্তটি তিনি স্পর্শ করলেন;
অতঃপর দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করলেন......


(চলবে......)