(আসরের সকল কবিবন্ধুকে নববর্ষের  শুভেচ্ছা ও মঙ্গলকামনা)


(অনুলেখা ৭)


ট্রেনিং শেষে একমাসের ছুটিতে ফিরেছি বাড়িতে
মা-বাবা ভাইবোনের কাছে।
মা-বাবা কে প্রণাম, ভাইবোনদের স্নেহ জানিয়ে
ছুটলাম হবু শ্বশুরবাড়ির দিকে,
পা ছুঁতেই ঠাকুমা-শাশুড়ি(প্রায় নব্বই বছরের)
স্বাগত জানালেন ফোকলামুখে একগাল হেসে,
শিশির কাকা(বড় কাকাশ্বশুর),রাধা কাকীমা(বড় কাকীমা শাশুড়ি)
আদর জড়িয়ে বসালেন পাশে
প্রদীপ কাকা(ছোট কাকাশ্বশুর) একটু রাশভারি
পা ছুঁযে প্রণাম জানিয়ে অপেক্ষা করি
হাসিমুখে আগামী বিবাহবন্ধনে সম্মতি জানালেন তাড়াতাড়ি।
অবশেষে জয়া কাকীমা(ছোট কাকিমা শাশুড়ি)
বন্ধুর মত আগামীর করণীয় বুঝিয়ে বললেন উদার অবকাশে।
নির্মল বালক বাপি(অভিজিত) ও বিশু(বিশ্বজিত)(ছোট শ্যালকদ্বয়)
সদ্য যুবক কর্মঠ গৌতম(বড় শ্যালক) আর তম্বী বুলুরানী(শ্যালিকা)
আমাকে ঘিরে আছে
আমি যেন হিরো এই 'সব-পেয়েছির দেশে'----


তারপর
দীর্ঘ অদর্শণের পর অনুলেখার সাথে নিকট মিলন
কেমন আছো আপু?(অনুলেখার ডাক নাম)
সে হেসে বলল
তোমাকে ছাড়া কি করে ভাল থাকি বল?
তুমি কেমন আছো সোনা?( এই নামেই সে ডাকতো আমাকে)


বললাম--
আমার পিতৃকুল স্বল্পবিত্ত, মাতৃকুল তথৈবচ
না আছে মান-অভিমান
শুধু তুমি আছো বলেই অনুলেখা
প্রত্যহই উৎসব,অষ্টপ্রহর আনন্দ
না শিখেও কন্ঠে ভরা ভালোবাসার গান
শুধু তুমি আছো বলেই
অ--------নু---------লে-----------খা............





বিশেষ- অনুলেখা কাব্যসিরিজ আমার স্বর্গীয়া স্ত্রী শ্রীমতী অঁনুলেখা মজুমদার স্মরণে.........