( সুনামীর মত বাড়ছে কালান্তক ভাইরাস, পুজো-আচ্চা করেও মানুষ হতাশ--তাই শেষমেষ...)


সকাল-রোদ এর হলুদ মেখে ঘর থেকে বের হলাম
চুপুচাপ দাঁড়িয়ে থাকা গাছেদের চোখে জিজ্ঞাসা,
কোথায় যাচ্ছ? সব রাস্তা এখন অনন্তের দিকে;
হেসে বললাম-
বিজ্ঞানের সহযাত্রী হয়েও মানি
ঈশ্বরই সকল প্রাণের প্রহরী;
গন্তব্যে এসে দেখি মন্দিরের দরজায় তালা
আর চারিপাশে পশুপাখিদের ভিড়,
বুঝে যাই শুধু মানুষ নয় ওরাও বুঝে গেছে স্রষ্টার অভিঘাত,
এই অস্থির দোলনকালে সবাই সমবেত প্রার্থনায়;


করজোড়ে চোখ বুজে প্রশ্ন করলাম--
হে ঈশ্বর মানুষই তোমার আগামী
না থাকলে বল
কে লিখবে-শোনাবে তোমার মহিমার কাহিনী?


ক্রমশঃ-প্রভু কি বললেন আগামীতে-----------------

সূয্যি-চাঁদ-তারা,গাছ-পালা,পাহাড়-পর্বত,পশুপাখি,কীটপতঙ্গ
বানিয়েও নিঃসঙ্গ; শেষে বান্ধব হবে ভেবে
'সব মানুষ বানালাম আমি একই সিস্টেমে
তোরাই আলাদা-আলাদা নিজ কারণে'
দিয়েছি বিজ্ঞানমনস্কতা,দিয়েছি অনুসন্ধিত্সা
তারই অপব্যবহারে একে অপরকে মারবি বলে
বিপদে পড়েছিস ভাইরাস ডেকে এনে;
স্রষ্টা আমি,কিন্তু তোদের পালন করছেন প্রকৃতি
অথচ তারই বিরোধ করাই তোদের দুস্কৃতি
বুঝে নে আরব্ধ কর্মফলই তোদের পরিণতি।


চোখ খুলে গেছে
দাঁড়িয়ে আছি সাথে নিয়ে কিঞ্চিত কাব্য-সংস্কৃতি আর
প্রভু-প্রতীতি...






বিশেষ- আমার স্বর্গীয়া স্ত্রী শ্রীমতী অঁনুলেখা মজুমদার স্মরণে...