( 'মাথামুন্ডুহীন' কবিতায় সব সুপ্রিয় কবিপাঠকই যথার্থ নামকরণ (শিরোনাম) করেছেন, কোনোটাই ফেলনা নয়; আমি সবাইকে আন্তরিক সাদর ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবার আমি নিজে কি শিরোনাম ভেবেছিলাম এবং কেন তা নীচে জানালাম)


১) কবিতাকে যখন দেখি একান্তে
২) নিজকে জেনে যাই অজান্তে
৩) ঘাস আসক্ত পার্কের প্রান্তে
৪) ভালোবাসা ঘরে ফেরে বসন্তে।


(১) কবিতাকে একান্তে দেখে মনে হয় শব্দের অপচয় না করেও অল্প
শব্দে এক সার্থক চিত্রকল্প আঁকা যায়।
(২) স্বল্পভাষ কিন্তু কথায় উঠে আসে অমৃত নির্যাস কিছু লোকে ভাবে
'ছুপা রুস্তম' কিছু ভাবে 'বাতেলাবাজ'--আত্মসমীক্ষা।
(৩) প্রেমিকযুগল পার্কের প্রান্তে নিভৃতে প্রেমবিনিময় করে, তাদের ছোঁয়ায় ঘাসও  প্রেমতড়িতবাহিত হয়ে যায়, কাজেই ঘাস ছুঁলেই...
(৪) বুড়ো বয়সে ভীমরতি,ষোড়শী দেখলেই স্পর্শ পাওয়ার আকাঙ্খা,হঠাৎ খেয়াল হয় ঘরে আদি প্রেম অপেক্ষায় তাই ভালোবাসা ঘরে ফেরে বসন্তে।


১৮/২/ ২২ এ প্রকাশিত 'মাথামুন্ডুহীন'...


( রোজই 'থোড় বড়ি খাড়া' আর 'খাড়া বড়ি থোড়' আজ তাই একটু অন্যরকম; শিরোনামেই কবিতার সারবস্তু থাকে তাই শিরোনাম শূন্য রাখলাম কবিবন্ধু তথা পাঠকের অপেক্ষায়)
(১)
(               )
অল্প কথায় যদি
অনেক কিছুই বলা যায়
তবে কেন শব্দের অপচয়
শব্দের বাহুল্যে কবিতা লাবণ্য হারায়।
(২)
(                  )
মনে ঘোর নৈঃশব্দ্য
ঠোঁটে তুমুল আওয়াজ
লোকে বলে বলুক আমাকে
ছুপা রুস্তম কিম্বা বাতেলাবাজ।
(৩)
(                    )
ঘাস ছুঁই কারেন্ট লাগে
বুঝে যাই
সেও প্রেমতড়িতবাহিত
আমার আগে।
(৪)
(                      )
নতুন সম্পর্ক যেন ষোড়শী
গা ঘেসে দাঁড়াতে ইচ্ছে হয়
পুরনো সম্পর্ক কিন্তু বনেদী
টিকে থাকা শিখিয়ে দেয়।






বিশেষ--কবিবন্ধু তথা পাঠক কে বিনীত অনুরোধ শিরোনামের শূন্যস্থান ইচ্ছামত ভরে দিন।