( কবিতায় পাঠকের তীব্র  রি-অ্যাকশন কবিতার সার্থকতা বোঝায়;'কাকতালীয়' কবিতায় অনেক কবি কাক ও কবি উভয়ের প্রয়োজনীয়তা আছে বলেছেন,কেউ কেউ কাক ও কবির তুলনা অপছন্দ করেছেন,স্বাভাবিক ভাবে কবিমাত্রই সেটাই করা স্বাভাবিক। সবচেয়ে সুন্দর মন্তব্য করেছেন কবি চিত্রলেখা দত্ত--কাক কে তুচ্ছ করেন নি আবার কবিকেও আঘাত করেন নি তাই 'কাকতালীয়' কবিতার শেষ পর্ব তাকেই উত্সর্গ করলাম আর নামকরণও তার মন্তব্যের শব্দ (নেহাত কাকতালীয়) অনুযায়ী করলাম)


"সেই থেকে ভাবছি সভ্যসমাজে কাক প্রয়োজন না কবি?"
                              |
                              |
'কাকতালীয়' কবিতার শেষ পঙতিতে কবির প্রশ্ন জনান্তিকে...'


প্রাণবন্ত শব্দগুলো 'কাক' ছিনিয়ে নিয়ে যেতে যেতে কবিকে শব্দ-দূষণের দায়ে দোষী বলে যায়; কবি উদ্বিগ্ন চিন্তায়-অলক্ষ্যে ধ্বনিত হয়--কবি সৃজন করেন কবিতার অসামান্য মুখ,উচ্চারণে শ্লোক; দুলে ওঠে দ্যুলোক-ভূলোক। ভেবে দেখ আবর্জনা সাফ করে যে ঝাড়ুদার পাখি 'কাক' আজ বিলুপ্তপ্রায়,সেই দুঃখের কথা ফুটে ওঠে কবির কাব্যকথায়--কবির চোখ খুলে যায় মনে পড়ে তার মনের কথা লেখা কবিতায়- ' পিতৃকুল কুল খুব গরীব মাতৃকুল তথৈবচ,না আছে মনপিয়া না মান-অভিমান,শুধু তুমি আছ বলেই কবিতা প্রত্যহই উত্সব অষ্টপ্রহর আনন্দ কিছু না পেয়েও কণ্ঠভরা ভালোবাসার গান'।জেগে যায় কবির দৃঢ় প্রত্যয়,বলেন-হে পাঠক যদি দুদন্ড স্বস্তি চাও,নিজে থাক অন্যকেও সাথে রাখ যেমন আমি আছি কবিতায়।সমস্বরে প্রার্থনা কর যেন কবি ও কবিতা দীর্ঘজীবি হয়,মনে রেখ কবিমাত্রই আহামরি যাপনপথের দিশারি।
আর কি আশ্চর্য! শব্দ নিয়ে কাক ফিরে আসে একান্তে বসে কা কা রবে যা বলে তা ধরা দেয় কবিমনে-
'শব্দ-দূষণ খুব খারাপ কিন্তু মনদূষণ ভয়ঙ্কর
মনের কালিমা দূর কর তোমরা প্রত্যেক কবিই এক এক শুভঙ্কর'।