( গনেশ-চ্তূর্থীতে আসরের সকল কবিবন্ধুকে শুভেচ্ছা)


বন্ধুকে বললাম জানিস ছোটবেলায় আমার অনেক নেশা ছিল
বন্ধু বলল-সেকী তুই ছোটবেলার থেকেই নেশাবাজ,তা সেগুলো কি কি?
বললাম-
মেয়েদের দিকে অপলকে তাকিয়ে থাকতাম
আর 'সায়রা বানু'র মুখের মিল খুঁজতাম
সান্ধ্যকালীন পড়াশোনার সময় বই এর ভাজে লুকিয়ে
স্বপন কুমারের ডিটেকটিভ বই পড়তাম
লাষ্ট বেঞ্চে বসে ছবি আঁকতাম,কখনো সখনো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগানবাড়িতে আম চুরি করতে যেতাম
সরস্বতীর পুজোর বাহানায় রাত জাগতাম
আর চায়ের সাথে বিড়ি-সিগারেট খেতাম
চিরকুটে কবিতার মত কিছু লিখে 'পড়ে নিন' বলে উড়িয়ে দিতাম
লুকিয়ে এক-আধটা বায়োস্কোপ দেখতাম
সব মেয়েকে 'বৈজয়ন্তীমালা' আর নিজেকে 'দিলীপকুমার' ভাবতাম
আর...
বন্ধু হাত তুলে থামিয়ে দিয়ে বলল-থাক, ঐ একই নেশা আমারও ছিল
বললাম- জানি,তোর নেশা এখন বদলেছে টাকা-পয়সা,বাড়িতে-গাড়িতে
আমার টা অটুট আছে কিশোরীয় মৌতাতে...
ভাবি ছোটরা কেন বড় হয়ে যায় এই পৃথিবীতে
হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো যদি ফিরে আসে এক মধ্যরাতে...





বিশেষ- ক)দীপ্তেন্দু কবি সুবীর ভট্টাচার্য্য ও তপোব্রত কবি শরীফ এমদাদ হোসেন এর নষ্টালজিক কবিতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই আবোল-তাবোল লেখা উভয় সুপ্রিয় কবিকেই উত্সর্গীকৃত।
খ) আমার স্কুলের পাশেই রবিঠাকুরের বাগানবাড়ি(খড়দহ,উত্তর কলকাতা)