দুরন্ত শৈশব! ছুটোছুটি করছে
'আয় বাবা আয়'--
হাতের মুঠোয় ভাতের দলা নিয়ে
মা পিছু পিছু ছুটছে।
শেষমেষ বিকেলে চকোলেটপ্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি পেয়ে
ভাতের দলা মুখে পুরে--ছেলে মাকে ধন্য করে দেয়।
কি আশ্চর্য!মা'র ও পেট ভরে যায়---


চঞ্চল কৈশোর!স্কুলে না যাবার বাহানা--'জ্বর'
মা কপালে হাত ছুঁয়ে সম্মতি দেয়
বাবা'র রক্তচক্ষু নরম হয়,
বাবা অফিসে বেরিয়ে যেতেই ছেলে খেলায় মেতে যায়
বৃদ্ধা ঠাকুমা গজগজ করে--'মায়েরাই ছেলেকে বিগড়োয়'!


সদ্য যুবক! কে জানে সারাদিন কোথায় কোথায় ঘোরে
বাড়ি ফিরে জামাকাপড়গুলো এমনকি অন্তর্বাসটাও ফেলে রাখে
লজ্জা কি? মা ধুয়ে দেবে--
মায়েরাই তো ধুয়ে মুছে ছেলেকে অমলিন করে দেয়!


ছেলে চাকরী পেয়ে শক্তিশালী বাবাকে ঘড়ি কিনে দেয়
আর মা'কে--'সব ব্যাপারে কথা বোলো না'
'আধুনিক জীবন তুমি কি বোঝ' --এই সব হম্বি-তম্বি দেয়!
ছেলে রাত করে বাড়ি ফিরলে--মা ঝুকে পড়ে দরজা খুলে দেয়!


ছেলে বিদেশে--মা বসে থাকে নাড়িছেঁড়া ধনের অপেক্ষায়
অনেকদিন পর--মা আর নেই----
আমার হম্বিতম্বি গুলো মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে,
কুড়িয়ে নিয়ে পুটলিতে ভরি
মা'র অস্থিকলসের মত ভাসিয়ে দিই গঙ্গায়..........................


আর ভাসাতেই--পবিত্র গঙ্গাজলে আল্পনা ফুটে ওঠে
যেন লেখা--' চোখে একরাশ করুনা, হাতে বরাভয়'
মার মত কেউ কি হয়? কেউ কি হয়.................................


বিঃদ্র--মাকে নিয়ে আমার অনেক লেখা--যোগফল একটা কাব্যগ্রন্থ--তারই দু একটা'র  রি- কনস্ট্রাকশন এই কবিতা--পৃথিবীর সব মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিলাম....................!