(এই কবিতা 'অকৃতজ্ঞ'কবিতা,আর 'বিতর্ক'কবিতার পরিনাম--ভাল লাগলে গ্রহণ করবেন না লাগলে বিনা দ্বিধায় জানাবেন)


'বিতর্ক' কবিতার শেষ দুই পংক্তি------
সৃষ্টিকর্তা--আমি বিশাল-একমাত্র নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র
জীবশ্রেষ্ঠ--আমি পরিমিত-বিলক্ষন স্বতন্ত্র!


জীবশ্রেষ্ঠ--যে কোনোদিন ডি-কোড করে দেবো
                        সৃষ্টির কৌশলের মন্ত্র!


এরপর সৃষ্টিকর্তা একটু বিরতি নিয়ে বললেন--
চন্দ্র সূর্য তারা,সমুদ্র নদী গাছপালা
সাজালাম আমার সাধের সংসার
কিন্তু জীবনের স্পন্দনহীন ভারি নির্বিকার!
সৃষ্টি করলাম জীবজন্তু,কীটপতঙ্গ, পশুপাখি
কোলাহলে ভরে উঠলো নির্বাক পৃথিবী!
আমি সুখী কিন্তু একাকী--
তাই বান্ধব হবে ভেবে বানালাম মানব-মানবী!
জড় বস্তু ছাড়া সবাইকে দিয়েছি শরীর আর প্রাণ
শুধু মানুষকে দিলাম  তৃতীয় বস্তু--
আমারই অপর সত্তা--
অবতংস অমর আত্মা!
অন্তর্বেদী হয়ে দ্যাখ--
পাবি আমারই বিমল আভাস!


আবেশে চোখ বুজে এলো--
মূহুর্তে সৃষ্টিকর্তা আর সাথে সাথে--
নিজেকে চিনে নিলাম!