( নামকরন পাঠকরাই করে নেবেন)
(আমার স্বর্গীয়া স্ত্রী শ্রীমতী অঁনুলেখা মজুমদার কে উত্সর্গীকৃত)


(১)
সারাজীবন ধরে মানুষ ছুটছে
অফিসে,হাটেবাজারে,সিনেমাঘরে কখনও ভ্রমণে
শশ্মান ও কবরখানা অপেক্ষায়
ছুটি নিয়ে মানুষটা কবে আসবে এখানে
(২)
যাই-যাই নদীটি শোনে
এসো-এসো তীরের ডাক
ভালোবাসা আছে বটে
তবে শব্দের জোয়ার নেই
তাই মিলন অধরা থাকে হামেশাই
(৩)
এক্ষুনি চিতা নিভে গেল;
কি জ্বলছিল ওতে?
কিচ্ছু না--কিচ্ছু না
তবুও নাছোরবান্দা মায়া
সচকিতে সরে গেল
সাত জনমের মিতা অনুলেখার ছায়া
(৪)
আমার অধস্তন--মাইনে অনেক কম
তবুও কি করে
তার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে গেল?
অথচ আমার মেয়েটার এখনও......
হিংসায় গা জ্বলছিলো--
পরের দিন সে অফিসে আসতেই
বিনা অজুহাতে ছাটাই করে দিলাম!
আজ বড়দিন--গির্জাঘরে--
মোমবাতির আলোয় 'ক্ষমাসুন্দর' এর মুখটা
কেমন যেন অন্ধকার--অন্ধকার
হয়তো ভাবছেন--
হিংসুটে মানুষদের আর কতদিন ক্ষমা করা সম্ভব
(৫)
তম্বী যুবতী হেঁটে যাচ্ছে
পিছু পিছু আমি
বুড়ো হলেও বাঘ 'ম্যাও ম্যাও' নয়
'হালুম-খেলুম' করে
যুবতী দিশাহারা
মানুষ ও বাঘ এর সমন্বয়ের ভীড়ে