অনুলেখা ১৮
প্রনব মজুমদার


(বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে ১৯৭৯ এর ৫ই নভেম্বের
আগামী তে অনুলেখা @ প্রনব এর বিবাহ-আড়ম্বর)
তার আগে
(লক ডাউনের প্রথম পর্যায়ে (১নং) অনুলেখা'র সাথে আলাপচারিতা
আর শেষ পর্যায়ে (২নং) কিছু বিষাদকথা...)
(১)
(মিউটেশন)
আজকাল দেহান্ত হলে
লোকে বলে--
যেতে হবে তাই চলে গেছে
এটাই স্বাভাবিক
তবে কেন দুঃখ অধিক?
যারা রয়ে গেছে
কাছে কিম্বা দূরে
একদিন যাত্রাশেষে
মিলিয়ে যাবে
তেপান্তরের ধু ধু অন্ধকারে।


আসলে সময়টাই এইরকম নির্ভার
না দুঃখে হাহাকার
না আনন্দে অঙ্গীকার
আমরা সবাই নির্বিকার।


বলছে সময়--
মানুষ মানুষের সবচেয়ে প্রিয়
এটা ঘোর মিথ্যা কথার সমাহার...


(২)
(ছাইইইইইইইইইইইই)
চোখ দুটি খুঁজছে
চেনা দুটি চোখ
যা ভুলিয়ে দিতে পারে
গতকালের যাবতীয় শোক।


মেয়েলি নাগরাই
যেটা তার আলতা-মাখা পা
জড়িয়ে থাকত আদরে
আজ পড়ে আছে  অনাদরে
জুটিভাঙা ঘোর অন্ধকারে।


কে যেন হাসছে?
বড় মিষ্টি আওয়াজ ছিল তার হাসির
ব্যালকনির দরজা খুলতেই দেখি
টবে রাখা তুলসীপাতায় দুটি নিঁখুত শিশির
যেন অনুলেখা বলতে চাইছে
এই নাও বিদায়ী অশ্রুজল
জেনে রেখ
এটাই তোমার শেষ সম্বল।


আমার হারানো অতীতের মধুর স্মৃতি
                                       পড়ে আছে মল্লিকাবনে
বর্তমান টা ঘুরপাক খাচ্ছে
                                       সময়ের টানাপোড়েনে,
আগামী প্রশ্নবিদ্ধ? কি হবে কে জানে?


মনখারাপের বিকেল গুলো গায়ে জড়িয়ে
চুপচাপ বসে আছি
অনুলেখা'র অবশেষ যতটুকু
ঠিক ততটুকু আমি...


বুঝলাম--
'লষ্ট ফর এভার'
লিখতে দরকার
কালি নয়--একমুঠো
ছাইইইইইইইইইইইইইইই...








বিশেষ--অনুলেখা কাব্যসিরিজ আমার স্বর্গীয়া স্ত্রী শ্রীমতী অঁনুলেখা মজুমদার স্মরণে...