( রক্ষাখাতে অনেক ব্যয়/সুবোধ জনগন বোঝেন এই ব্যয়ের বিনিময়/
নিশ্চিন্তে নিজঘরে বসবাস/ জানেন সীমান্তে সৈনিক প্রহরায়--------
গুলিবিদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী এক সৈনিকের কথা............)


(মা'কে)
এইমাত্র বুকে গুলি লেগেছে
রক্তে ভিজছি আর ভাবছি
যেন স্নান করছি
যেমন সদ্যজাত করে জন্মদিনে
দেখিস মা লোকেরা বলবে-
বীরবিক্রমে লড়েছে এই জওয়ান
নিশ্চয় 'সিংহিনী'র বাচ্চা
ইচ্ছা রাখলাম মা
আবার জন্ম নেবো তোরই গর্ভাঙ্গনে


(বাবা'কে)
ছেলেবেলায় আমাকে কাঁধে চড়িয়েছো
ভেবেছিলে শেষ যাত্রায় আমার কাঁধে যাবে
হলো না বাবা-
পরজন্ম যদি পাই
শোধবোধ করে দেবো সেইক্ষণে


(ভাই'কে)
আমি বড়ছেলে পরিবারের ডানহাত
তুই ছোট তাই বাহাত
খেয়াল রাখিস পরিবারের
হয়ে দু'হাত


( গর্ভবতী স্ত্রী'কে)
চোখে কেন জল?
শহিদের স্ত্রী'র পরিচিতি নিয়ে মুখ তোল
গর্ভের সন্তান কে আশ্বাসমন্ত্রে সিদ্ধ করো
দেওয়ালে টাঙানো ফটো দেখিয়ে বোলো
দ্যাখ তোর বাবা হাসছেন স্বমহিমায়


(শাসনকর্তা'কে)
জানি আপনারা পাঠাবেন
তেরঙ্গা জড়ানো কফিনে শব সাথে গুচ্ছ প্রশংসাফুল
আপনাদের ভাবনায় আমি অমূল্য পরাক্রমে অতুল


( সেনা অধিকর্তা'কে)
আমার ছেড়ে যাওয়া আত্মা খুব খুশি হবে
যখন গান স্যালুট গর্জাবে


(দেশবাসী'কে)
চিরনিদ্রায় ঘুমোতে যাচ্ছি বলে ভেবোনা
ঘুমিয়েই থাকবো
দরকার হলে দেশের জন্যে আবারও প্রাণবলি দেবো
জেনো, শহিদেরা কখনো মরে না
বেঁচে থাকে অনন্তকাল
কফিনে কিম্বা চিতায় শুয়ে
দেশ কে জানায় সম্পূর্ণ প্রণাম।


(সূত্রঃ অনুবাদ
মূল কবিতা-'শহিদ কি অমর কথা'
কবি--মহেন্দ্র সিং চৌহান
ভাষা--হিন্দি)


বিশেষ-পুনর্গঠন