( শিরোনাম দেখে চমকাবেন না--অতুলনীয় প্রতিভাধর মানুষটা আজ আর নেই-- তার কথা ভাবতে ভাবতে চোখ লেগে গেছিল--সেই আধোঘুম অবস্থায় তার এই কবিতা ভাবনা--অবশ্যই কাল্পনিক)


রক্ত বদল করতে পুরো সাতাশ সেকেন্ড লাগলো
অর্জুন রি-টোনড হয়ে গেল।
যুধিষ্ঠির অন্য একটা ঘরে ভাইব্রেশন কোড দিয়ে
স্নায়ুতন্ত্র রিচার্জ করছিল।
ভীম এর এইসবের বালাই নেই
এক বছরের পে-ব্যাক মেনটেনান্সের দয়াধন্য হয়ে
নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলো।
নকুল আর সহদেব নিউট্রাল জোনে
মিউচুয়াল ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়ায় মগ্ন ছিলো।
মহামহিম শ্রীকৃষ্ণের নিমিলিত চোখের তারা
আর ময়ূরপালকের ফ্রিকোয়েন্সি আপ-ডাউন হচ্ছিলো।
দূরে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলাম
তোমরা কারা?
উত্তর এলো-'তোমাদের ভবিষ্যত'।
আমাদের পৌরানিক নামগুলো কেবল ঐতিহ্যের স্মৃতিধারক
আরো বললো--আমরা রাসায়নিক রক্তবাহক
জৈব-অজৈব বস্তুতে সমৃদ্ধ,
হৃদয় আছে বটে তবে শুধু রক্ত সন্চালনের জন্য
আমাদের কোন অনুভূতি নেই
আবেগবর্জিত।
শুধু দুটো কমান্ড জানি আর বুঝি
'হা কিম্বা না'।


শেষ প্রজন্মের রক্তমাংসের মানুষ
দেখলাম আর বুঝলাম আমাদের ভবিষ্যত।
ভাবছি
তবে বর্তমানের আমরা কারা?
কোথা থেকে এলাম আর কোথায়ই বা যাবো?






সূত্র:মিউচুয়াল ট্রান্সপ্লান্ট--পারস্পরিক অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট


বিশেষ-পুনর্গঠন