ভেসে চলি অকুল দরীয়ায় ভাঙ্গা তরী নিয়ে
চারি পাশে অথৈই পানি থৈ থৈ করে।
মন কাননে বাঁজে সুর শুনি তার জাগরন
তরীর পালে লাগে হাওয়া শরীরে জাগে শিহরণ।
দিনের বেলা আসমানে সূর্য রাশির আলো
দিপ্রহরে চলতে চলতে সময়টা লাগে ভালো।
একুল অকুল সবটা ছেড়ে আছি মধ্যে খানে!
কোথাই গিয়ে থামবে তরী মন নাহী জানে?
অকুল দরীয়ার মাঝি আমি সঙ্গে ভাঙ্গা তরী
হাতে আছে বৈঠা খানি দিতে থাকি পাড়ি।
হঠাৎ যদি আসে ঝড় দরীয়াতে তুফান তুলে
ডুববে আমার তরী খানি পারবো না যেতে কুলে।
বুকে জমা সাহসটাকে করি আরো শক্তিধর!
চলার পথের বাঁধা মানবো না হয়েও আমি নিথর।
বিপদ আসবে যখন তখন আমার চলার পথে?
বুকে আছে চলার দৃঢ়তা নয়নে আছে সপ্ন গেঁথে।
এই দরীয়ায় নেই উজান নেই কোন ভাঁটা
দরীয়ার বুক ভরে আছে জল দিয়ে পুরোটা।
মুক্তমনে অবিন্যতা করে বসবাস
সল্পে মাখা উজ্জিবিত প্রান ভরে নিই নিঃশ্বাস।
প্রাপ্যতার তীব্র আহবানে উল্লাসিত রঙ্গ
শঙ্ক লোপের বর্নতা মিলাতনে এ জল তরঙ্গ।