মেয়েদের সুখী হতে
লাগে না তো বেশি আয়োজন।
জগতের শতকথা জানার
নেই তার কোন প্রয়োজন।
তার পরিবারই তো তার
সমগ্র জগত হয়।
মেয়েদের স্বর্গ তো এখানেই রয়।
তিল তিল করে গড়ে গৃহ মন্দির।
সেথায় অধিষ্ঠিত দেবমূর্তি নয়
জীবন্ত মানুষ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কার কি প্রয়োজন ভেবে চলে দিবারাত্রি।
তবু তারা হয়ে যায় করুণার পাত্রী!
কার সুখ কিসে
ভাবে তা নীরবে বসে।
আত্মসুখ ভুলে
কর্ম করে চলে।
কর্ম যোগিনী তারা।
তারা তো বলে না কভু
ভালোবাসি ভালোবাসি।
তারা তো বলে শুধু
সকলের সুখে আমি সুখ নীরে ভাসি।
লাগে না তো তার গোলাপ ফুল
করতে প্রেমের প্রকাশ।
পঞ্চ ব্যঞ্জন আর উদয়াস্ত যত্নে
করে তার কোমল মনের প্রকাশ।
ছেলেরা তো করে একটা দিন
ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন!
মেয়েরা বলে ভালবাসার অপার সমুদ্র
আমরা বক্ষে করি ধারণ।
জীবনের প্রতিটি দিনই
ভালোবাসার দিন ভালো রাখার দিন।
মেয়েদের ভালোবাসার সর্বোচ্চ স্তর
পূজা হয়ে যায়!
শ্রদ্ধা সম্মান নিষ্ঠা মিশ্রিত সেবাযত্ন
আর নীরব আনুগত্যই
তার প্রেমের পূর্ণ প্রকাশ হয়।