ছোট্ট তো এই পৃথিবী,
তবে কিসের এতো ভাগাভাগি?
তোমরা কিসের জন্য লড়াই করো?
একদিন তো প্রাণ ভোমরা ঠিক দেবেই ফাঁকি।
অর্থকড়ি সব রইবে পড়ে ,শুধু কর্মটুকুই সঙ্গী হবে।
কত মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে রয় জগতে।
তবু মোরা বিপুল অর্থ খরচ করি যুদ্ধাস্ত্রে !
দেখি চতুর্দিকে ধর্মের নামে হানাহানি।
মানবধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম,এই সত্য কথাই কেউ না মানি।
আবার শিক্ষিত বলে,আমরা সবাই বড়াই করি।
সবার দেহে বহে একই রকম রক্ত।
তবু মোরা বিভেদ করি,দেখি, কে কোন ধর্মের ভক্ত।
যুদ্ধাস্ত্র বিজ্ঞানীরা সব পাষন্ড আর অহংকারী।
বানায় বসে মারণাস্ত্র ভয়ঙ্করী।
একটি কামান গোলা পড়লে এসে
কত নিষ্পাপ প্রাণ যায় এক নিমেষে।
কতো মায়ের কোল শূন্য হয়।
কতো যন্ত্রণা আর কাতর কন্ঠ যায় শোনা।
আর্ত চিৎকার চারিদিক হতে আসে ভেসে।
আর তোমরা নিষ্ঠুর পিশাচসম বিজ্ঞানীরা
ঠান্ডা ঘরে বসে মজা দেখো হেসে?
ভাবো,কি অস্ত্র বানিয়েছি অনেক গবেষণা শেষে।
জানো,পুড়ে যাওয়া বিদ্ধহওয়া কি ভয়ঙ্কর কষ্টযন্ত্রণা?
পারবে কি তোমরা ফিরিয়ে দিতে সবার জীবন?
চাই না এমন বিধ্বংসী বিজ্ঞানী মগজ।
চাই বিজ্ঞান করুক মানুষের জীবন সুন্দর ও সহজ।
তবেই না শিক্ষার সার্থকতা।
নইলে মূর্খকৃষক হওয়া ভালো।
তাঁরাই তো যুগযুগ ধরে ,
সকলের মুখে অন্ন তুলে, ফোটায় হাসির আলো ।