ঢাকা হতে দিনাজপুরে
তারপরে ঠাকুরগাঁওয়ে,
নির্ঘুম রাত কু ঝিকঝিক
ছুটছে ট্রেন চিরির বন্দরে।


পঁচাগড় বললেও
পঁচা তারা নয়,
হয় না গোস্বা পঞ্চগড়
মিঠা মিঠা কথা কয়।


ক্ষেপে যায় যদি
গ্রাম "ধাইধাই"
হবে না হেথা জেনো
তোমার কোন ঠাই।


"বুড়াবুড়ি" পার হলেই
বাংলা বান্ধা,
আহা কি অপরুপ
চোখে লাগে ধান্ধা।


সুজলা সুফলা
সোনার বাংলাদেশ
"জিরো পয়েন্টে" এসে
হলো কেন শেষ?


উত্তরের খোঁজে
যেতে চাও যারা,
চলে এসো
গ্রামের নাম "ধাক্কামারা"।


ঠাকুরের খোঁজে
ছুটে দিন ভর
ক্লান্ত হয়ে ঢুকি
"ভুল্লি বাজার"।


"ভুল্লি"ও দিল না
ভুলিতে তোমায়,
শ্রাবণের জল ঝরে
অঝোর ধারায়।


"বালিয়াডাংগি" যাই
যদি মেলে বালি,
দু বিঘা জুড়ে ছড়ানো সেথা
"সূর্যপুরি" খালি।


বালি বিনে "বালিয়াডাংগি"
লাগে না তো মন্দ
দু নয়ন খুঁজে ফেরে
তোমায় আনন্দ।


তেতুলিয়ার "মহানন্দা"য়
পাথরের মেলা,
সীমানার কাঁটাতারে
ভাগাভাগির খেলা।


ধান ক্ষেত চা বাগান
ভুলে রেষারেষি
আপন মনে খেলে
বসে পাশাপাশি।


সব থেকেও তুমি বিনে
সবই নিরানন্দ
ভার ভার মনে তাই
কেটে যায় ছন্দ।