কখন লিখেন কখন পড়েন প্রশ্ন  ছুড়ে বলে,
অফুরন্ত বেকার বুঝি এনাদেরই বলা চলে।
কাজ নেই তাই খৈ ভেজে ভেজে ভরেন মুড়ির টিন,
এত সময় কোথায় মেলে, ভাই উত্তরটা দিন।


আমরা যারা ব্যস্ত থাকি সকাল থেকে রাত
সময় কোথায় ভাবনা খোঁজার মাথায় রেখে হাত।
বেকার বসে কাব্য লিখে কার কী হবে বলুন,
কাঁধে কাঁধে কাঁধ মেলাতে দল বেঁধে সব চলুন।


জবাব দেবো কীই বা আমি জবাব তো ভাই নেই
একটু রোসো, ভেবে দেখি জবাবটা কী দেই।
চুলোর উপর কড়াই জ্বলে, হাতে হলুদ তেল
এরই মাঝে ছেলে মেয়ে দেখায় নানান খেল।


বড় সাহেব ডেকে বলেন সময় হাতে কম
রিপোর্টখানা তৈরী করেন বন্ধ করে দম ।
সাথে আছেন দু চারজনা তারাও বলেন এসে
বউ ডেকেছে আমায় আপা, সংসার যাবে ভেসে।


মিললে ছুটি চাঁদের হাসি ছড়ায় তাদের মুখে,
যদি বলি হবে না ভাই যায় যে ভেসে দুঃখে।
দু চারজনা বলেই বসে কর্তা হবেন হন,
অধীনস্ত হলেও আমরা মনিব আপনি নন।


কি আর করা মাথার উপর দায়ের বোঝা নিয়ে
এদিক ওদিক ছুটি, তবু সেবাটা যাই দিয়ে।
এরই মাঝে মনের ভেতর গুনগুনিয়ে ওঠে
দু এক কলম লিখতে যদি একটু সময় জোটে!


কাজের ফাঁকে খাওয়ার আগে ধরি কলম হাতে
মনের ভেতর যা যা আছে দেই লিখে পাতাতে।
চুলোর আগুন কমিয়ে যখন ভাপে বসে ভাত
অমনি লিখি দু চার লাইন, পাঠক কুপোকাত।


কোলের ভেতর ছেলে মেয়ে করে গুঁতোগুঁতি,
পড়ার সুযোগ খুঁজতে আমি তাকাই ইতিউতি।
এমনি করেই চলছে লেখা, চলছে আমার পড়া,
ইচ্ছে আমার লেখক নামে জীবনটাকে গড়া।