মেঘবালিকা বড্ড পাজি, সকাল থেকেই কাঁদছে,
গাল ফুলিয়ে ঠোঁট বাকিয়ে অঝোর ধারায় ঝরছে।
কীসের রে তোর দুঃখ এত, কীসের এত কান্না?
খিচুড়ি আর ডিম মরিচে করবো মজার রান্না।


কাঁদিস কেন ফ্যাচফেচিয়ে কথায় কথায় তুই?
ঘরে কি তোর ঘর বেঁধেছে মাটি দিয়ে উই?
শুনিস নিরে মেঘবালিকা ধ্যানের কথা হায়!
মনের যত সুখ আছে রে ধ্যানেই খুঁজে পায়।


আর কটা দিন মেঘবালিকা, একটু সবুর কর;
ধ্যানের মেলায় বন্ধু হবো আমরা পরস্পর।
আসবে গুরু আলো জ্বেলে করতে আঁধার দূর,
মেঘ বালিকা জানিস না তুই মিষ্টি ভারী সুর।


গাল ফোলানো থামা এবার, আর ফেলিস নে জল
দানের কথা ধ্যানের কথা শুনবো অনর্গল।
কাঁদবি তবু? থামবি নে তুই? এত কেন মান?
কাঁদবি যদি, কাঁদ নারে তুই; আসুক ধেয়ে বান।


আমার আছে ধ্যানের গুরু, আছে দানের দোয়া,
কান্না ভুলে এখন সময় প্রশান্তির খোঁজ পাওয়া।
কাঁদবো না আর এই জীবনে, হাসবো জীবন ভর,
সবাই এখন আপন আমার, নেইতো কেউ আর পর।