ঘুম ভেঙে চোখ মেলে দেখি
কুয়াশার চাদরে ঢাকা নগরী,
আফসোস নয়, স্বস্তি পেলাম ভেবে  
উলঙ্গ নগরী ক্ষণিকের তরে হলেও
প্রয়াস পেয়েছে আপন লজ্জা ঢাকার।


সভ্যতার নামে ইটের প্রাসাদ গড়ে
লাল নীল আর হলুদ নিয়নের বাতি
জ্বেলে তারা ভাবছে তাদের অন্যায়
আর অবিচারগুলো গেছে ঢেকে।


সভ্যতার ছায়ার নীচে বসে চলছে
এখানে, অসভ্যতার এক মেলা।
বিচারক বসেছে সত্যের শপথে,
অথচ অবিচার করাই যেন তার ধর্ম!


চিৎকার করে শিশু কাঁদে যখন
আমি মায়ের কাছে যাবো বলে,
দূরাচারী ইবলিসের প্রেতাত্মারা
তখন আপন স্বার্থ খোঁজে।


শিশুর কান্না কাঁপন ধরায় না, আর
মানবিকতা?  সে তো কোন ছার!
অসহায় মানুষ নিয়ে এ নগরী করে
বাণিজ্য। নেতা আর ক্ষ্যাতায় ভরে
গেছে এ কলুষিত নগরী।


অবুঝ শিশুর কান্না আর অসহায় মানুষ
নিয়ে তারা বানাতে ব্যস্ত ব্যানার।
শ্লোগানে শ্লোগানে তারা আকাশে ছড়ায়
মিথ্যে ফানুসে ভরা নিজের যশ আর খ্যাতি।      


সভ্য নগরীর অসভ্যতাকে ঢাকতেই বুঝি
প্রকৃতি বিছিয়ে দিয়েছে এই কুয়াশার চাদর।
থাকুক না কিছুটা সময় হলেও
সভ্য নগরীর অসভ্যতাটুকু ঢেকে!