কেন দিলে তুমি ছাইচাপা আগুন নতুন করে উস্কে
আমার বুকের গভীরের ক্ষত বেরোয় যদি মুখ ফস্কে!
হাহাকার আর গগনবিদারী চিৎকার কি শুনতে পাও?
আমার শিশুর নিথর দেহ তোমরা সবাই দেখে যাও।
নীরব কান্নায় গুমরে মরি না, শোকের আগুনে জ্বলি
মেরেছে আমার অবুঝ শিশুকে, কি করে তারে ভুলি?


প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ করো; আর কতকাল শুনবো?
এরপরো আমি বিচারের আশায় কেবলই কি দিন গুণবো?
সৃষ্টির তুমি সেরা দাবীতে প্ল্যাকার্ড নিয়েছো হাতে,
নিষ্পাপ শিশু রেহাই পায় নি তোমার জিঘাংসা হতে।
আর কতদিন বলতে পারো, আর কতটা হলে;
আমার শিশু পড়বে না আর পাশবিকতার কবলে?


অপরাধ কোথাও খুঁজে পাই নি, তবু কেন এই শাস্তি
কেন মেলে না দান ধ্যান করেও আমার মনে স্বস্তি?
দেখেছি আমি বহুদিন ধরে একটু একটু করে
নৈতিকতার গাছের পাতা যাচ্ছে ঝরে ঝরে।
ভেবেছিলাম সেদিন এইটুকুতে, কি আর হবে এমন?
এই বয়সে একটু আধটু হবেই যেমন তেমন!


একটু আধটু সময়ের ফেরে হয়েছে পাহাড় সম,
জান মান দিয়েও রেহাই পায় নি প্রিয়তমা প্রিয়তম।
একে মারছে ওকে মারছে, কাউকে দিচ্ছে জ্বালিয়ে
আজকে তাইতো পারি না বাঁচতে কোথাও আমি পালিয়ে।


চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে মরি, বোবা বধির নাকি আল্লাহ
দৌরাত্মে আমিও সেদিন দেই নি তো কম পাল্লা।
আহাজারি আর শোকের মাতমে বাতাস হচ্ছে ভারী,
ভাবছি না কেউ কেমন করে ওদের থামাতে পারি।
থামাতে হবে অসুরের রথ, পশুদের দৌরাত্ম,
কঠোর হাতে দমাতে হবে পাপাচারের আধিপত্য।