বিশ্ব যখন মৃত্যু ভয়ে,
স্তব্ধ ভিষন নির্জনতায়।
রজপথে নামছে ঢল…..
অসংখ্য শিশু - নারী - বৃদ্ধ,
প্রতিবন্ধীও হাটছে পথ।
কি নিদারুণ ঘরে ফেরার তাগিদ ওদের।
হাটছে ওরা হাজার হাজার মাইল!
অনাহারে ক্লান্তি বিহিন।
সেখানেও রাষ্ট্র লেঠেল হাতে,
উৎপীড়নে নেমেছে কি বিভৎসতায়।
ক্লান্ত শরীর ভোর রাতে,
রেল লাইনে ঘুমের ঘোর।
জেগে ওঠে সকাল দেখেনি ওরা আর।
ঘুমন্ত সমাধি রচেছে ওদের,
বিশাল যন্ত্র দানব কি ভিষন ক্ষিপ্রতায়।
কোথাও বা রাজপথে,
ছড়িয়ে রয়েছে ওদের লাশ।
কোথাও ওরা জীবন যন্ত্রণাতে হেরে,
স্ব-পরিবারে স্বেচ্ছা মৃত্যুর পথে….
খুঁজছে জীবন থেকে মুক্তির স্বাদ।
সারা দেশে জুড়ে ওরা আজ ঘর মুখো,
কারো ফেরা হলো..............
কেউ চির সমাধি রচে গেল রাজপথে।
যন্ত্রণার তীব্রতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত,
বুকের পাঁজর ছিন্ন করছে হাহাকার কত শত।
শোনার অবকাশ টুকু নেই কারো!
ওরাযে এভাবেই বাঁচে চির কাল,
এ গণতন্ত্রের বুকে ওরা বেওয়ারিশ লাশ।
যন্ত্র সভ্যতায় রাষ্ট্র বুঝি,
যন্ত্রের ভাষা সুধু বোঝে।
রাষ্ট্র আজ জীবন কে মাপে সংখ্যাতে,
লাভ লোকসানের ফর্মুলা ফেলে।
তাই আজ যন্ত্রের বোতাম টিপে ,
শ্রেণী ভাগে লাশের হিসাব খুঁজে।
মনুষ্যত্ব টুকু রেখেছে তুলে,
অতি যত্নে গোপন কোন সিন্ধুকে।
ওরা যে মুটে মজুরের দল,
ভোটের বাজারে ওদের ভিষন কদর।
সে না হয় দেখা যাবে,
এলে ভোট কেনা যাবে অনুদান সামগ্রীতে।
আজ ভোটের নেই বালাই,
ওদেরও তাই ঠাঁই নাই।
দেশের পথে পথে আকাশকে ছাদ করে,
ওরা আজ বেঁধেছে ঘর!
অভুক্ত ওরা, কাটছে বিনিদ্র পহর।
ওদের আজ তকমা আঁটা,
ওরাযে পরিযায়ী।