এইতো সেদিনের কথা
দৃঢ় সংকল্প নিয়ে
রাজপথে নেমেছিল কত জনে
দেশের আনাচে কানাচে
মুখরিত করেছিল মানব বন্ধনে।


দাবি ছিল সবার একটাই
তনু হত্যার বিচার চাই।
দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
ধর্ষক যেই হোক
পালিত হল রাষ্ট্রীয় শোক।


অতঃপর কত নাটক হল
মিডিয়ার ঝড় বন্ধ হল
সব কিছু চাপা পড়ে
তনু হারিয়ে গেল।


তারপর কত তনু?এলো গেল!
কেউ আর খোঁজ রাখেনি ঠিক
কত নারী ধর্ষিত হচ্ছে দৈনিক।


আবার ফিরে এসেছে নুসরাত
আগুনে পুড়ে পেল মৃত্যুর স্বাদ।
ঝড় উঠেছে সারাদেশে।
প্রতিবাদী হয়েছে সবাই
নুসরাতকে ভালবেসে।


দেশের সেই বিভেকবান মানুষগুলো
জেগে উঠেছে আবার।
মিডিয়া ফেসবুক আর মানববন্ধনে
দেশ হয়েছে একাকার।
জানি দুদিন পরে থেমে যাবে এরা
প্রতিবাদী ছলে ধর্ষিতার মজা লুটে তারা।


আমরা ভুলে গেছি তনুকে
নুসরাতকেও ভুলে যাবো
কোন এক ছলনার যানজটে।
সচেতন বিভেকবান মানুষগুলো
ঘুমিয়ে যাবে আবার
ধর্ষক জেগে উঠে
দেশের অন্য কোথাও করিবে তুলপাড়
সচেতন জনতা মজা নিবে
তনু,নুসরাতের জীবন যাবে বার বার।


বিচারের দাবিতে তনু,নুসরাতের পরিবার।
বুক ভরা কষ্ট নিয়ে
ঘুরিবে আইন আদালত কোট-কাচার।
অবশেষে মানসম্মান বিস্বর্জন দিয়ে
হাল ছেড়ে পড়িবে নুয়ে।
কি আর হবে বিচার দিয়ে
যে যাবার সে তো মরে বেচে গেছে।


লম্পট,জানুয়ার ধর্ষকদের জয় এপারে
নুসরাত, তনুরা ভাল থেকো ওপারে।