আম্মু বলে তুই হচ্ছিস যত বড়ো
দুষ্টু ছেলে উপাধি নয়তো আর কারো!


পড়াশোনা ছেড়ে সারাদিন  বনবাদাড়ে ঘুরিস!
পাখির মতো ডানা মেলে তেপান্তরে উড়িস!


কি কাজ বলো তোর গাছের মগডালে?
গাছে গাছে বেড়াস কোন হারামির তালে?


কে বলেছে বলনা একটু কেন গাছে চড়া?
পুনরায় করলে মার খাবে খুব কড়া!


প্রজাপতি ধরে কেন পিপড়ের মাঝে বিলাস?
পথের কুকুর কে খাবার দেয়া এটা কেমন বিলাশ?


বয়ামের ঐ ছোট মাছ দিব ই আজ ছেড়ে
ভুতের আছর হয়তো পড়াশোনা নিচ্ছে কেড়ে!


পাশের বাড়ির ছেলে টা নিয়মিত যায় পাঠে!
কপাল খারাপ আমার ছেলে  ঘুড়ি উড়ায় মাঠে!


গণক - কবিরাজ দেখাতে হবে এতো ভুতের কর্ম।
যতই বোজাই ছেলে টা বুজে না কথার মর্ম!


ওঝা বৈদ্য মন্ত্র পড়ে ফু দিয়ে সারা গায়ে।
ভয়ংকর ভুতে ভর করেছে যাবে পাঠা খেয়ে।


পাঠা খুঁজে চোখ বুজে কান্নাকাটি করে।
  ঠাকুরদের পোষা পাঠা আনে উচ্চ মুল্যে ধরে।


গভীর রাতে বলি দিয়ে চলে কঠিন যজ্ঞ।
কি সব বুলি আউড়ায় বুজিনা - আমি যে ভিষণ অজ্ঞ।


নতুন কাপড় সুগন্ধি চাল লাগবে আরও কিছু।
শোয়ামণ দুধ না পেলে ভুত ছাড়বে না তার পিছু


মাথায় হাত দিয়ে বাবা বলেন হাতে নাই ফুটো কড়ি।।
ভুতের আছর থেকে ছেলেটা বাচাতে এখন যে কি করি!


মা বলেন ভেবোনা বিকিয়ে দাও গলার হার।।
জীবনে অনেক বানাতে পারব বেচে থাকে বাচা আমার।


অসমাপ্ত,,,,,,

২,,,,, নাই নাই


মন নাই ধন নাই
ভালোবাসার জন নাই।
ভালো হওয়ার পণ নাই।
বেচে থাকার ক্ষণ নাই।
ঘর তোলার শন নাই!
নব হরষের রণ নাই।


চারিদিকে খাই খাই।
তোকে মেরে আমি খাই।
ঠেলে ফেলে সামনে যাই।


স্বার্থ হাসিল তাই তাই!
কাজের সময় ভাই ভাই,
কাজ শেষে ভাই নাই।


সংসারে সুখ নাই।
মুখ দেখানোর মুখ নাই।
নতুন কোন লুক নাই!


হাড়িতে ভাত নাই!
শাড়িতে জাত নাই।
পরকীয়া গৃহিনী ধাই ধাই!
শিশু কাদে মায়ের পথ চাই চাই।


নগরে সবুজ নাই।
সাগরে মাছ নাই।
মাছে আগের স্বাদ নাই।
আলু ভর্তা ডাল খাই।
স্বপ্নে ও আলুভর্তা দেখতে পাই!


আগের মতো কাম নাই!
সমাজে দাম নাই।
পকেটে নোট নাই
হৃদয়ে চোট পাই


আঁখিতে জ্বল নাই।
প্রতিবাদের বল নাই
দেখি তাই চাই চাই
চেটেপুটে সবটাই!
খা সব তোরা ই!