কবিতার সাথে যুদ্ধ
১৫/০৪/২০১৭
(নরসিংদী)


কবিতার সাথে বিচ্ছেদ সে অনেক দিনের
হয়ে যাবে এক যুগ কিংবা তারও বেশি
অথচ ভিসুভিয়াসের প্রবল উন্মাদনায়
কবিতা ফিরে আসতে চায় বার বার
আমাকে মনে করিয়ে দেয় তার জন্ম
শৈশব কৈশোর আর উত্তাল যৌবনের দিন ।
আমিও বলি তোমরা এসোনা আমার চেয়ার টেবিল
আর কলমের ডগায় নির্ঝর ভঙ্গিতে।
তোমরা কী দেখনি গহীন বনে হরিণীর নির্লিপ্ত চোখ
নিষ্ঠুর শিকারীর বন্দুকে খুঁজে পরম আবাস।
তোমরা কী শুননি বিচারহীনতায় ক্রসফায়ার বটিকা।
জঙ্গিরা যেমন চায় কায়েমী ইসলাম।
তোমরা  কী আসনি আমার পিছু পিছু
বাসে উঠা যুদ্ধজয়ী যুবকের মত
পায়ে পায়ে যুদ্ধ। পেন্টের গায়ে নববর্ষের
কারুকাজ। সাজ যেমন খুশি সাজ।


আমায় ক্ষমা কর আজ। যে কিনা শপথ
নিয়েছি একজন ধনীকে আরো ধনী বানাব বলে
কংকালসার হয়ে ঘাম আর রক্তস্রোতের
মশাল জ্বালিয়ে আলোকিত চোখে
আলোড়িত চোখ রেখে হতে চাই বিলীন -
একটি সংসার বাঁচবে বলে।একজোড়া ফুটফুটে
শাবক আর মায়াবতী হরিণীর চোখে চোখ
এইতো সব। এর বেশী চাই নাতো আর।


তোমরা আজকাল বড্ড বেশী জ্বালাচ্ছ আমাকে
বললাম না বিচ্ছেদতো হয়ে গেছে সেই কবে।
আমাকে ঘুমোতে দাও, একপলক বিশ্রাম চাই
বেশী কিছু নয়। নাইবা নিলাম প্রেয়সীর ঘ্রান
আমাকে জাগিয়ো না। তোলনা ঢেউ সুনামির
মত মস্তিষ্কের কোটি কোষে। হৃৎপিন্ডের ছোট্ট
কুঠুরিতে দিয়োনা হানা সিডর হয়ে...


আমাকে মুক্তি দাও। মুক্তি চাই। মুক্তি॥