সনেট মানে মৃদু ছন্দ এ যেমন সত্য , তেমনি সনেটের দুরন্তপনা সম্পন্ন নিয়মাবলী অনেকাংশে মাথা ধরার জোগান দেয়। এ পথ হতে বাঁচার উপায় কি কেউ দেখেনি বা দেখায়নি ?
প্রথম উত্তরটা আসে এভাবে - দেখেছে বলেই পেত্রায়াকীয় রীতির বাইরে রীতি পাওয়া গিয়েছে।
দ্বিতীয় এবং খুব মানানসই উত্তরটা হচ্ছে , সনেটের এই ধরাবাঁধা নিয়মের বাইরের জগতের নাম অনিয়মিত রীতি বা অনিয়মিত রূপকল্পের সনেট ।
এপথে বাংলা সাহিত্যের সকল সনেট অধিকারীই হেঁটেছেন ।
অনিয়মিত রীতি বা অনিয়মিত রূপকল্পের সনেট অনেকভাবে হতে পারে আবার নামের মধ্যেও  হতে পারে অনুসরনের ছাপ ।উদাহরণ শুরু করা যাক প্রথম থেকে ।
ধরুন পেত্রাকীয় সনেট লিখেছেন বুঝতে পারছেন খাঁটি হয়নি , অন্ত্যমিলের তারতম্য লক্ষ্যনীয় এক্ষেত্রে সনেটির ধরন হতে পারে অনিয়মিত পেত্রাকীয় রীতি । ঠিক একই কথা শেক্সপীয়রীয় রীতি ও ফরাসী রীতির সনেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।
অনেকেই মনে করেন ১৪ অক্ষরের না হলে বুঝি সনেট হয়না।
কখন্ও না!!!!
কারন-সনেট বলতে বোঝায় অষ্টকে ভাবের অবতারনা এবং ষষ্টকে ভাবের পরিণতি ।
বাংলা ভাষায় ১২ অক্ষরের সনেটের উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন-- অক্ষয়কুমার বড়াল , নবীনচন্দ্র সেন প্রমূখ।
এছাড়াও ”জীবনানন্দ দাশ” ২২ অক্ষরের সনেট রচনা করেছেন।
এসবকিছুই অনিয়মিত রীতি বা অনিয়মিত রূপকল্পের সনেটের উদাহরন।
(চলবে)
গত সব পর্বে আশা করি আপনারা প্রত্যেকে সনেটের উপর প্রচলিত রীতি এবং তাদের গঠন সম্পর্কে অবগত হয়েছেন , অবশ্যই আপনারা তা আগেও ছিলেন।
সনেট সম্বন্ধে সকল আলোচনা ভাঙলে এটা খুব স্পষ্ট , সনেটের কিছু বিষয় এমনভাবেই নির্দিষ্ট যে তা ভাঙলে সনেট তার কাব্য মযার্দা হারায় । তখন তা আর সনেট থাকে না বরং সাধারন কবিতার রূপ ধারন করে ।
সেগুলো কি ? একে একে বলছি এবার –
১) অবশ্যই ১৪ চরন বিশিষ্ট হতে হবে  
২) ভাবের অবতারনা এবং ভাবের পরিণতি বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে ।
৩) কাঠামোবদ্ধ অন্তমিল ।
এবং ৪ ) ছন্দের পয়ার বা Iambic pentameter থাকা বাঞ্জনীয় ।
এছাড়া বাকি সেসব বিষয়ে সনেট থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব তার মধ্যে একটি স্তবক বিন্যাস । এটা নির্ভর করে যিনি সনেট রচনা করছেন তার উপর । আশা করি এ সম্পর্কে পূর্বের পর্বগুলো থেকে আপনার ভালভাবে জানতে পেরেছেন ।


তাহলে আরও একবার চোখ বুলানো যাক সনেটের নির্দিষ্ট বিষয়গুলোর দিকে।
১) অবশ্যই ১৪ চরন বিশিষ্ট হতে হবে :
এটা বিশ্বের সকল ভাষাতেই স্বীকৃত , কারন এটা সনেটের আকৃতি নির্দেশ করে ।


২) ভাবের অবতারনা এবং ভাবের পরিণতি বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে :
সনেট মানেই যেমন মৃদু ছন্দ তেমনি তা সনেট রচয়িতার হৃদয়ের ভাব প্রকাশ করে । সনেটের প্রথম দিকে ভাবের গাঢ়তায় কাব্য প্রয়াস যেমন বিস্তর আয়তন লাভ করে অপরদিকে তেমনি ভাব প্রশমিত হতে হতে সনেটের সমাপ্তি সূচনা করে ।আর এ ভাবের খেলাই কাব্য জগতে সনেটকে এক বিশেষ স্থান করে দিয়েছে ।
৩) কাঠামোবদ্ধ অন্তমিল :
এটা সনেটের আরেকটি বিশেষত যে এখানে অন্তমিলের কাঠামোবদ্ধতা রয়েছে । এ অন্ত্যমিলেরাই সনেটের ছন্দের মেল বন্ধন রচনা করে । চলুন আরও একবার প্রচলিত ধারার অন্ত্যমিলগুলো দেখে নিই
খাঁটি পেত্রাকীয় রীতি
ক খ খ ক : ক খ খ ক :: গ ঘ গ : ঘ গ ঘ
ক খ খ ক : ক খ খ ক :: গ ঘ ঙ : গ ঘ ঙ
শেক্সপীয়রীয় রীতি
ক খ ক খ : গ ঘ গ ঘ :: ঙ চ ঙ চ : ছ ছ
ফরাসী রীতি
ক খ খ ক : ক খ খ ক :: গ গ ঘ : ঙ ঙ ঘ


স্পেনসারীয় রীতি
ক খ ক খ : খ গ খ গ :: গ ঘ গ ঘ : ঙ ঙ


৪ ) ছন্দের পয়ার বা Iambic pentameter থাকা বাঞ্জনীয় :
এ বিষয়টা এতটাই গুরুতর যে এটার অনুপস্থিতির কারনে সনেট তার পূর্ণ মর্যাদা হারায় । আগেই বলে রাখা ভাল একেক ভাষায় ছন্দের বিষয়টি একেক রকম । যেহেতু প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলা ভাষার সনেটই আলোচ্য হয়ে আসছে তাই বাংলা ছন্দের ধারাগুলো খুবই সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো –


ক) স্বরবৃত্ত : এখানে অক্ষরকে মুখ্য ধরে ছন্দ গণনা করা হয় । এটি বাংলা ভাষার আদি ছন্দ । তাই সবার আগে এটা বোঝা উচিৎ । তবে সনেট লেখার ক্ষেত্রে এ ছন্দের কোন উদাহরন বাংলায় মেলে না ।তবুও জানা ভাল , এ ছন্দে মূল পর্ব সর্বদা ৪ মাত্রার হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটি অক্ষরকে ১ মাত্রা গুনতে হয় ।
খ) অক্ষরবৃত্ত : আগেই উল্লেখ করা হয়েছে স্বরবৃত্ত বাংলা ভাষার আদি ছন্দ । সংস্কৃত ভাষার প্রভাবে পড়ে বাংলা ভাষায় অক্ষরবৃত্তের আবির্ভাব । কিভাবে এলো ? এ সম্পর্কে আমি কথা দিচ্ছি পরবর্তি লেখায় উপস্থাপন করব ।
এ ছন্দ না জানলে সনেট লেখার কোন মানেই হয়না । এ ছন্দের মূল পর্ব ৮ অথবা ১০ মাত্রার হয় ।অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ গুনতে হয় আর ব্যঞ্জনধ্বনির বেলায় – যদি শেষে থাকে তাহলে ২ এবং শুরুতে বা মাঝে থাকলে ১ গুনতে হয় ।
গ) মাত্রাবৃত্ত : এ ছন্দের সৃষ্টিকারক আর কেউ নন , তিনি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । মাত্রাবৃত্তে মূলত অক্ষরবৃত্তকেই একটু সাজানো হয়েছে । এখানে অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকলে ১ গুনতে হয় আর ব্যঞ্জনধ্বরি বেলায় প্রতি ক্ষেত্রে গুনতে হয় ২ । আর এ বৃত্তের মূল পর্ব হয় ৪, ৫, ৬ বা ৭ মাত্রার । তবে সনেটের ক্ষেত্রে এ ছন্দের উদারন খুবই সীমিত ।( আশার বাণী হতে পারে , আপনাদের এই বিষ পিঁপড়ে এ জাতীয় একটি সনেট লিখেছে , নাম ”শিশু চাহিদা (সনেট-২)”)


এখন আসা যাক সনেটে ছন্দের পয়ার নিয়ে । মাইকেল মধুসুদন দত্তের ”কবি” নামক  সনেট থেকে দেখলে দেখা যায় –
কে কবি – কবে কে মোরে ? ঘটকালি করি (৮+৬)
শবদে শবদে বিয়া দেয় যেই জন (৮+৬)
………………………………………
বহে জলবতী নদী মৃদু কলকলে (৮+৬)


(৮+৬) ? কীভাবে ? খুব ভালো করে দেখুন
কে । ক । বি । ক । বে । কে । মো । রে  (৮)
ঘ । ট । কা । লি । ক ।রি । (৬)
একটু খেয়াল করে গুনে দেখুন । কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের এ সনেটের প্রতিটি বাক্যে ছন্দের ব্যবহার পর্ব বিচারে (৮+৬) । অর্থাৎ অক্ষরবৃত্ত ছন্দে পরছে এটি ।সনেটে পর্ব বিচারে ছন্দের ব্যবহারকেই সাধারন অর্থে পয়ার ধরা হয় । তবে স্তবক এবং চরন বিচারে মাঝে মাঝে এর তারতম্য ঘটলেও মোট মাট ১৪ মাত্রা ঠিকই থাকে ।
সবাই ভাবতে পারেন এ কবিতার উদাহরন কেন দেয়া হল ? বই কিংবা ওয়েবসাইট গুলোতে তো এ উদাহরন থাকেনা । এক, আমি নিজেই কপি-পেস্ট নই; অন্যটা মারতে কেন যাব ! দুই , আমরা সবাই জানি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পূর্ববতী কবিদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মাত্রাবৃত্তের জন্ম দিয়েছেন । এ ধরনের একটি কবিতাই হচ্ছে উপরোক্ত কবিতাটি । কীভাবে বুঝলেন? ভাল করে খেয়াল করুন –
কবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত এ কবিতায় ”শব্দ” না লিখে লিখেছেন ”শবদ” । আর অক্ষরবৃত্তে ”শব্দ” এর মাত্রা ২ যেখানে “শবদ” এর মাত্র ৩ ।আর এভাবেই এসেছে মাত্রাবৃত্ত যেখানে ”শব্দ“ এর মাত্রা ৩ ।  


>> এখন আসুন ”বিষ পিঁপড়ে-র সনেট “ বলতে এ কাব্য হত্যাকারী বিষ পিঁপড়ে আসলে কি করছে ??
আগেই তো কবিতায় বললাম আমি নিজের ঢোল নিজে পেটাতে ভালবাসি । তাই নিজের ঢঙ বকে বেড়ানো কবিতা নিজেই ভাঙলাম (কারন আমার কোন সাহিত্য সচিব নেই!!)।


>কবিতা>>
”বিষ পিঁপড়ে-র সনেট (সনেট-৮)
’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’
আমি নিজেকেই বলি, আমি বিষ ,কেন? (৮+৬) - (ক)
ঢোল পেটাতে মজাতো , এ কারনে খুব ! (৮+৬) - (খ)
নিজের ভেতর আলো , কভু পেয়েছি কি ? (৮+৬) - (গ)


লোকে হাসাহাসি করে , আড়ালে আড়ালে । (৮+৬) - (ঘ)
বিষ নিয়ে বাজি লাগে , রোমিও যে ওরা । (৮+৬) - (ঙ)
আর আমি চুপ করে , ভাবি দিন-রাত । (৮+৬) - (চ)


ঠিক কতটুকু বিষ , মৃত্যু আনা যায় ; (৮+৬) - (ছ)
কতটুকু বিষ হলে , ধারা বদলায় ।  (৮+৬) - (ছ)


ভাবি শয়তান আমি , আগুনের যেন , (৮+৬) - (ক)
জ্ঞান সাগরে দিলাম , চুপ করে ডুব ; (৮+৬) - (খ)
নিয়ে এলাম গরল , কাব্যে বিষকন্ঠী । (৮+৬) - (গ)


সনেটেতে বিষ দিয়ে , অন্ত্যমিল-তালে , (৮+৬) - (ঘ)
পাঁচেতে ভেঙে স্তবক , আর ছন্দ ধারা । (৮+৬) - (ঙ)
এবার নাচুক লোকে , নিয়ে ভাঙা দাত । (৮+৬) - (চ)


>কবিতা>
আদৌ কি মুসলমান ?
’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’’
সত্যি আমার জন্মটা , কেন এ ধরায়  ? (৮+৬) - (ক)
কারণ কি জানি আমি ? আর ঠিক ব্যাখা ? (৮+৬) - (খ)
জন্মেই এ কানে শুনি , আমি মুসলিম ! (৮+৬) - (গ)


যখন পতিত আমি , দুঃখ ও জরায় ; (৮+৬) - (ক)
ডাকি এক আল্লাহকে , জানি এ ঠিকানা - (৮+৬) - (খ)
শুধু শেষ চাওয়ার । তিনি যে রহিম । (৮+৬) - (গ)


জিহাদের মাঠে আমি , সেই কাঁচা সেনা ; (৮+৬) - (ঘ)
যে বুক বাঁধে আবেগে , ঈমানেতে যেনা । (৮+৬) - (ঘ)


সমাধান খুঁজি তাই , রাত-দিন ভরে ; (৮+৬) - (ঙ)
মুসলমান কীভাবে ? এ মরা আত্মায় ! (৮+৬) - (চ)
ফাঁকি দেয়া ছাত্র আমি , কুরআন অজ্ঞ । (৮+৬) - (ছ)


আর আল্লাহ বলেন , সকলের তরে - (৮+৬) - (ঙ)
” স্মরন কর আমাকে  , করবো তোমায় ;   (৮+৬) - (চ)    
হইও না অবিশ্বাসী , হও যে কৃতজ্ঞ ” (৮+৬) - (ছ)


সনেটের যতগুলো নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে সবগুলো এ ”বিষ”-এর উপর খাটিয়ে দেখুন তো সনেট হয় কিনা ।
এখানে সনেটের মাত্রা বুঝা যায় কিন্তু স্তবক আর অন্ত্যমিল এ এত বিষ !! ব্যাখা করছি ।


প্রথমেই অন্ত্যমিল নিয়ে বলি ।অন্ত্যমিল এক বিশেষ ভাবে কাঠামোবদ্ধ দুটি সনেটেই ।
তৃতীয় এবং চতুর্থ চরনে পর পর মিল দেয়া আছে ”বিষ”-এ । তার মানে আপনাদের বিষ ওয়াদা দিচ্ছে তার নিজ ঢঙ বলে চালানো সনেটে (যদিও সাহিত্য বিচারে অনিয়মিত রীতি কারন এটা স্বীকৃতি প্রাপ্ত  নয় কিংবা এ চলন কেউ অনুসরন করে আমাকে গুরু মানেনি!! আর আমার তো এখন পর্যন্ত কোন বই বের হয়নি!! লোকে জানবে কেমনে?!!) তৃতীয় ও চতুর্থ চরনে সর্বদা পর পর অন্ত্যমিল থাকবে । আর বাকি স্তবক ও চরনের কাঠামো বদ্ধ অন্ত্যমিল আশা করি আপনাদের কাছে স্পষ্ট ।


এবার স্তবক নিয়ে বলি , পাঁচ ভাগে কেন ভাগ করলাম ?


পেত্রাকীয় দ্বি স্তবকের সনেটে প্রথমে ভাবের অবতারনা এবং পরবর্তিতে ভাবের পরিণতিই লক্ষ্যণীয় হয় । আবার মাঝে মাঝে পেত্রাকীয়তে প্রথম স্তবকের সাথে দ্বিতীয়টির কোন প্রকার মিল পা্ওয়া যায়না । এর বিপরীতে উপায় খুঁজেছেন শেক্সপীয়ার , তার সনেটের স্তবক বাড়ার সাথে সাথে ভাবের গভীরতা প্রকাশে এসেছে নব প্রাঞ্জলতা । আর সেই প্রাঞ্জলতা পুঁজি করে আধুনিকতায় মাথা তুলে দাড়িয়েছে ফরাসী রীতি । তাই নিজে অনেক চিন্তা করলাম, সনেটে কীভাবে ভাবের ব্যাপকতা আরও বাড়িয়ে তোলা যায় । এমন সময় মাথায় এল ৫ স্তবক এর চিন্তা । এবার দেখুন কীভাবে?


প্রথমেই ”বিষ পিঁপড়ে-র সনেট (সনেট-৮)” সনেটটি লক্ষ্য করুন । এখানে ১ম স্তবকে  ভাবের প্রকাশ ঘটেছে , ২য় স্তবকে সেই ভাবেরই প্রায়োগিকতার বৃদ্ধি সাধন ঘঠেছে , ৩য়টিতে ভাবের ব্যঞ্জন ঘটেছে বহুলাংশে , ৪র্থ টিতে এসে ভাব তার গাঢ়তার হ্রাস ঘটাচ্ছে এবং সর্বশেষে ভাব ধীরে ধীরে শেষ হচ্ছে ।


এবার লক্ষ্য করুন ”আদৌ কি মুসলমান ?” সনেটটি ।এখানেও ১ম স্তবকে  ভাবের প্রকাশ ঘটেছে , ২য় স্তবকে সেই ভাবেরই প্রায়োগিকতার বৃদ্ধি সাধন ঘঠেছে , ৩য়টিতে ভাবের ব্যঞ্জন ঘটেছে বহুলাংশে , ৪র্থ টিতে এসে ভাবের যে ব্যঞ্জন ছিল তার দ্যোতনা কমে গিয়েছে এবং ৫মটিতে এসে ভাব বিশেষভাবে মোড় নিয়ে পরিণতির পর্যায়ে পরেছে ।


দুটো কবিতাতেই ৩য় স্তবকের ভূমিকা অনন্য । এখানে এসে ভাব তার মাত্রার বিকাশের সাথে সাথে ভাবের পরিনতির দিকে যে গমন বা ভাবের গাঢ়তার হ্রাস তা ত্বরাণ্বিত করছে ।
এখন আপনারাই ভেবে বলুন ৫টি স্তবকে সনেটকে ভাগ করা কতটুকু যুক্তি সংগত হয়েছে ? আর এই ”বিষ”নাম ধারী এ ঢঙ কতটুকু বিষ দিতে পেরেছে?