মোরস , কিগো এবং কিরেজী যদি কেউ বুঝতে পারে তবে এতটুকু বলা যায় তিনি একজন হাইকু জানা লোক । কারন, ঐতিহ্যবাহী হাইকুতে এর চেয়ে বেশি কিছু তেমন লাগে না । তবে কিরেজীর ব্যবহারে যেমন পার্থক্য দেখা যায় তেমনি হাইকুর এ দীর্ঘ চলার পথে দেখা যায় মোরাসের তারতম্য ।
জাপানি অন্ত্যমিল নিয়ে কিছু বলার কথা ছিল , কিন্তু তা আগের পর্বগুলোতেই খুব ভাল ভাবেই বলা হয়ে গেছে ; কিভাবে ?
জাপানি ভাষার অলংকার তার ব্যবহারের বৈচিত্রে । কারন এ ভাষা ”মুক্তস্বর”ময় । তাই উচ্চারনে কোন প্রকার ঝামেলা না থাকায় এরা অন্ত্যমিল নিয়ে কোন প্রকার মাথা ঘামায় না ।
যেহেতু আজই হাইকু নিয়ে লেখার সমাপ্তি ঘোষনা হল তাই এর চলার পথটা এবার বাতলে দেয়া যাক । তবে এখানে শুধুমাত্র বিখ্যাত হাইকু কবি এবং তাদের হাত ধরে হাইকুর চলন বর্ণনা করা হলঃ


১) মাৎসো বাশোঃ
তারই হাত ধরে প্রথম হাইকু তানাকা থেকে বিভক্ত হয়েছে ও ” হাক্কু” নাম ত্যাগ করেছে । ৫+৭+৫ = ১৭ মোরাসেই তিনি সকল লেখেন ।


২) ইউসা বুসনঃ
তারই হাতে হাইকুর মোরাস বৈচিত্র সাধিত হয় । যেমন: ৫+৭+৫ = ১৭ মোরাস বা ৫+৮+৫ = ১৮ মোরাস , এভাবে তার হাইকুর সন্ধান মেলে ।


৩) কোবাইয়াশি ইসাঃ
তিনি হাইকুর ভাবে বৈচিত্র প্রদর্শন করেন । তার হাইকু এখনও সবার মুখে মুখে ফেরে । জনমনে তিনি ”ইসা” নামেই সবচেয়ে বেশি খ্যাত ।


৪) মাসাওকা শিকিঃ
আধুনিক হাইকু কবিদের একজন । বর্তমান জাপানি ভাষার হাইকুর রূপকার বলা হয়ে থাকে তাকে ।


এই চারজনের কথা এই কারনে বলা হল , কারন তাদেরকে হাইকুর প্রাণপুরুষ বা The Great Four বলা হয়ে থাকে ।
আশা করি আমার হাইকু আলোচনায় আপনারা প্রত্যেকেই উপকৃত হয়েছেন ।
তাই সবার শেষে একটা ঐতিহ্যবাহী হাইকু দিলাম----


কালো হল খ'
বজ্রপাত চলছে
পাখিরা ঘরে


(সমাপ্ত)