কারন কীঃ
গায়ে অনেক জ্বর , সম্ভবত এটা নাকি ঋতু পরিবর্তনের কারনে ঘটে থাকে বলে আমার ধারনা , তার সাথে আবার বিছানা ছাড়ার পর বুঝলাম সারা গায়ে কী ব্যথা !
একটু পরেই বুঝলাম আমার মাথার পাগলামিটা দিনকে দিন বাড়ছে । কার কার সাথে আমার যোগাযোগ আছে আর কার সাথে নেই , এটাই বুঝতে পারছি না । তার উপর মাত্র দু'মাসের ব‌্যবধানে আমার দুই স্কুল বন্ধু পরপারে পাড়ি দিয়েছে ।
পুরো পরিস্থিতিটাই জানি কেমন কেমন !!
তার উপর আমার পাতায় আমি নিজেই একটু আগে গিয়ে বুঝলাম আসলেই আমার আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে 'পাবনা'-র টিকিট চুড়ান্ত হতে যাচ্ছে ।
'অন্ত্যমিল নয় বলুন অলঙ্কার'- নামের একটা লেখায় আমি কী না শুরু করলাম একেবারে মাঝখান থেকে !!
তার উপর আবার এ লেখায় কেন আগ্রহ হলাম তার ও কোন বর্ননা না দিয়েই আমি বাবা শাহজালাল সাজলাম !
আজ থেকে আমার প্রকাশিত কয়েকটি কবিতা আগে সম্মানিত 'শাহাদাত চৌধুরী' এবং সম্মানিতা  'রুমা চৌধুরী' আমাকে উপদেশ দিয়েছিলেন যেন 'অন্ত্যমিল' নিয়ে কিছু একটা লিখি , এর পর থেকেই আমার এই লেখাটার পদক্ষেপ শুরু ।


চিন্তা পর্যায়ঃ
অনেক চিন্তা করে দেখলাম , আমি নিজেই তো অলঙ্কার আগে পড়ি নাই !
আমার কবিতার ব্যাকরণ শেখাটা শুরু হয়েছিল মন্দভাবে 'ছন্দ' শিখে ; তারপর হালকার উপর পাতলা 'অলঙ্কার' দিয়ে ।
ভাবছেন ছেলেটা তো বড় দুষ্টু!!
কিছু করার নেই , কারণ ছন্দ ও অলঙ্কার পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত । কবিতার জন্যে দুটোই যেমন জানা উচিৎ আবার অপর দিকে দুটো না জানলেও আমাদের এই আধুনিক যুগের সাথে তাল মেলানো সম্ভব ।
কারণ কবিতায় 'ছন্দ ও অলঙ্কার'- বোধের ধারনা আবশ্যক ছিল আজ থেকে বহুকাল পূর্বেকার সময়ের কবিতা লেখায় , যখন আমাদের এই অঞ্চলটি রাজা দ্বারা শাসিত ছিল ।
কারণ , রাজারা তখন নীতি ছাড়া চলতো না , তাই তাদের প্রভাবে পরে কবিতাও নীতিহীন ছিলনা ।
তাই বর্তমানে পরীক্ষা পাশের জন্য অথবা জ্ঞানের জ্বালা নেভানোর জন্যে এ বিষয় আপনারা জেনে নিতে পারেন ।
আমাদের এই আলোচনা সভাতে শ্রী 'সুদীপ্ত বিশ্বাস' অনেক আগেই 'কবিতার ক্লাস'-এ বাংলা কবিতার ছন্দ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন । তাই আমি মনে করি 'ছন্দ' সম্পর্কে আপনাদের প্রত্যেকের পূর্ণাঙ্গ ধারনা আছে , এবং তার সাথে অবশ্যই 'অলঙ্কার'-এর উপরও ।
মঞ্চ পেয়েছি চেঁচাবোনা কেন??
তাই আপনারদের মাঝে 'অলঙ্কার' নিয়ে কিছু লেখার উদ্দ্যোগ নিলাম । আশা করি বিরক্ত হচ্ছেন না !


বাণী ছাড়া উচিৎঃ  
হে মহান জ্ঞানীগণ , যেহেতু বর্তমানযুগে কাব্যময়তা তার আশার বাণী ত্যাগ করে নিরাশার পথে পদে পদে লাঞ্চিত , সেখানে তারই ব্যাকরণ তাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাতে লজ্জাবোধ করেনা । তাই আমি একজন 'কাব্যহত্যাকারী' এবং 'অকবি' হিসেবে একটাই কথা বলতে চাই , আপনারা যেহেতু কবি তাই 'অন্ত্যমিল নয় বলুন অলঙ্কার'।