তখনও কথা কব,
আমরা যখন বুড়ো-বুড়ি হব।
বিশটা বছর পর
তখনও সুখে করে যাব ঘর।
আজ বাসরের মধু মাখা নির্জন এই রাতে,
হাতে রেখে হাত,চোখে-চোখে এক সাথে,
অঙ্গীকার দুজনে-
চমকি অনুরণনে।
চাঁদ মিটিমিটি চায়
খোলা জানালায়,
জোনাকির মতো পাখনায় মেলে
প্রেমের প্রদীপ জ্বেলে।
নিজ অনুভবে উত্তাল প্রাণ
গায় মিলনের গান,
পরিচয় করি কথাকলি জাগে,
আধো-আধো বলে,বধু বড় লাজে,
আঁচলেতে ঢেকে তার মুখ খানি,
চার দেয়ালেই যত জানাজানি।
আগামীর কথা পলকে-পলকে
কত সুখে থাকা,আর কত শোকে,
কত আশু যাবে ঝরে কলকল্,
অভিমান মাখা মিছামিছি ছল্-
দিন বদলের ক্ষনে,
একাকিনী মনে মনে।
সময় হয়তো ছোট হয়ে গেলে
দিওনা সরিয়ে মোরে অবহেলে,
তোমার হাতের কোমল পরশে-
হরষে-হরষে
শীতলের অনুভূতি
করে যেন দেয় বেদনার ছুটি।
এ' অন্ধকারে,আরও রয়েছে কথা
ফেলে অলসতা,
রাত কেটে হোক নতুন সূর্য ভোর,
হোক ঘুমঘোর,
জেগে থেকো সাথে,খুশি হয়ে শুনে
নতুন কুসুম বুনে।
এভাবেই প্রতি রাত গুলো ফিরে
ধীরে ধীরে
আপন ঠিকানায় আবার,
সময় হবে যাবার।
হারানোর কথা মনে পরে,
ব্যথা ভরে!
যে ছায়ায় স্বপন দেখেছি মনে প্রানে
তাদের ছোঁয়ার টানে,
কত ভালোবাসা চাপা হবে মাটিময়,
বড় সংশয়!
চোখের সমুখে,জীবন যতিতে-
দুর্বার গতিতে,
পথ চলা দিক গুলি দেখবো ভিন্ন!
মুছে যাবে মোদের পায়ের ছাপ,ফুটে তাদের পায়ের চিহ্ন।
তুমি দুখী হবে,তোমার কান্না চেপে
মোর হাত যাবে কেঁপে।
আকাশ রাঙিয়ে দেবে লাল সন্ধ্যায়,
সহ্য করতে হবে নতুনের উসিলায়।
অতীতকে মনে হবে বড় নিষ্ঠুর,
ভেসে আসে অসময়ে বুক ভারী সুর।
শারদীয় কাশ যেন ধলা আগুনের ঢেউ,
বুঝবেনা কেউ!
বুঝে নেব আমি,তুমি চুপিসারে
নিরালায় অপেক্ষায় সুখের দুয়ারে-
দেখে মুখখানি নবীনের,মিশে'গো প্রবীণে,
নেব মোরা চিনে।
বাঁচা-মরা থাকবে,থাকবে অগণিত তৃষা
তার মাঝ হতে খুঁজবো আলোর দিশা।
ওগো প্রিয়তমা আমাদের এ'বাসরে
প্রতিদিন মেতে যাব প্রেমের আসরে।