স্বপন দেখেছি মহীরুহ হয়ে,
করাত চলছে,আমার গ্রীবায় গাঁথা!
হাতুড়ি প্রহারে লহু-লাল ভরে
থরথর কাঁপে,আব্রু-পোশাক পাতা।
জোর হাত করে মেগেছি পরান,
যে দিল তোমারে দম অফুরান
জীবন পেয়েছো যার থেকে তুমি,
ভুলে গেছ,সেই পরম বন্ধু দাতা?


মরুর মাঝারে দেখে এসো আজ
তপ্ত কড়ায় বালুকা দহন শিখা!
দুমড়ে-মুচড়ে একাকার হবে
হীন-মানবের গরবের অহমিকা।
লু-পবন সাথে মরিচিকা মায়া
আগুন,আগুন,নেই কোনো ছায়া,
একা,একা সেথা কা রেগো খুঁজবে,
ধুধু প্রান্তরে,কেবা করে সেথা কৃপা?


কালবোশেখের খেয়ালি ছোবল
আমার জেহাদে প্রলয় শান্ত হয়ে,
সহসা প্লাবনে আঁকড়েছি বুকে
বাচিয়েছি ধরা,সহস্র ব্যথা সয়ে।
আমি সদা জেগে দিয়েছি নিবাস
নিয়ে গেছ শুধু সুধা বারোমাস,
বিলি করে ফিরি কত ফুল,ফল
চেয়েছি কি কভু,তোমা হতে বিনিময়ে?


লেখক,কবিরা লিখেছে কবিতা,
প্রেমিক-প্রেমিকা বসেছে আমার তলে,
দেখেছি তাদের হাত ধরাধরি
অনুরাগ মেশা কত না আঁখির জলে।
তুমি কি ভেবেছ নেই অনুভূতি?
বুঝতে পারিনা ঠিক কিবা ত্রুটি?
আমিও কেঁদেছি আমার নয়নে
লুকিয়ে একাকী,চুপিচুপি অবিরলে।


আমিও বেসেছি যুগ-যুগ ধরে
তোমাদের মত এই ধরনীকে ভালো,
আমিও দেখেছি ভোরের আকাশ
মেঘেদের ফাঁকে,রাঙা সুধাময় আলো।
প্রেম'ও করেছি প্রিয়া ভেবে মাটি
দিয়েছে আসন পেতে তার ছাতি,
কেন তবে কর ভাগ তার থেকে
নিরাশায় বেঁধে,কেন গো গরল ঢালো?


দিনে-দিনে যেন দেখি চারিধার
সবুজ সরিয়ে করেছো শ্মশান-গোর।
কিয়ামত এসে হাঁক দেবে যবে
চিহ্ন পাবেনা,রাহা খুঁজে পালানোর।
কার্বন বানে তুমি যাবে ডুবে
অভিশংসনে প্রাণবায়ু উবে,
ক্ষমাহীন হয়ে,ঠিকানা হারিয়ে,
শুধু কালি কায়া,আসবে না আলো-ভোর।


তোমরা'তো কর ন্যায়ের বিচার
হত্যাকারীকে সাজা দা'ও কারাগারে,
তোমাদের সাজা কে'তবে শোনাবে,
নিরীহের খুনে হাত রাঙো বারেবারে?
অনুশোচনার নেই কোন লেশ
সাধুর আড়ালে ইবলিশ বেশ,
তোমার বিচার সেই দিন হবে,
সত্য প্রভুর,নির্ভুল দরবারে!