একটা নির্জন বিষণ্ণ দুপুর, কিংবা একটা গর্ভবতী রাতের বুক চিরে,
শস্য-শ্যামলা, সুজলা-সুফলা, জঠর-জরায়ুর পথ বেয়ে,
আমি একা, একাকী, বীরপুরুষের মতো পাড়ি দিয়েছি তিন ইঞ্চি নদীতে।


কৃত্রিম চাঁদের ঝিমধরা লালচে আলোয় নদীতট ঘিরে;
কয়েকটা সদ্য গজিয়ে ওঠা কেশ কালো কোমল দূর্বা, -- আমায় আলতো স্পর্শে ছুঁয়ে,
শিরায় শিরায় শিহরণ জাগিয়ে, চেয়েছিল আমাকে খুব করে ভেজাতে!


আমি এক এক করে ওদের পায়ে মরা বসন্তের যৌবন বেড়ী পরিয়ে,
ধীর স্থির ভাবে এগিয়ে গেছি দূর থেকে বহুদূরে, -- অকূল মাঝ দরিয়ার প্রান্তরে!
তারপর দুটো লণ্ডভণ্ড মাংসপিণ্ডকে মুখে ভরে জুড়িয়েছি ক্ষুধার জ্বালা, -- ঝরিয়েছি লালা!


সহসা একফালি নিশপিশ করে ওঠা উষ্ণ বাতাসে ভেসে আসা উড়ো মেঘের গর্জনে,
বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে দু-দণ্ড শান্তি মিলেছে পলেস্তারা খসা ওই রূপালী আয়ুর কালশিটে!
একটা কালপেঁচা তখনও তিমির অপেক্ষায় অবিরত! -- তবে মালতী এই কি রঙ মিলন্তির খেলা ?