একদিন এভাবেই কাজল কালো হরিণী চোখের কোণে জমবে পলেস্তারা!  -- কমবে দৃষ্টি!
গুড়িয়ে যাবে বহু সাধের ফরাসী চামড়া, কিংবা তার লাবণ্য !
ফুরিয়ে যাবে যৌবনের সমস্ত রূপ-রস-গন্ধ ও তার অপরূপ সৃষ্টি!
হামাগুড়ি দিয়ে এক এক করে নেমে আসবজ্বালা ও কষ্ট-কাঠিন্য!
তারপর একটা অবাঞ্ছিত নরকঙ্কাল হয়ে আরও বেশকিছুদিন অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম!
কিছুটা অনুনয়, কিছুটা বিনয়, আর বেশকিছুটা পাপ ক্ষয়! -- এরপর এক সময় বিদায়!
এই তো জীবনের রঙ্গমঞ্চে প্রতিটি মানুষের অভিনয় অবিরাম!
তবুও এই সভ্য সমাজের রাজপথে পথে আজও অভুক্ত মায়ের ক্রন্দন শোনা যাই!
দেখা যাই রোগা শালিকের বিবর্ণ হৃদয় নিয়ে বসে থাকতে করুণাময়ী, মঙ্গলময়ী বৃদ্ধা মাকে!
উদ্বাস্তু ঘর, জীবিত-মৃত বর, আর আপন রক্ত যে ছেলে করেছে পর!
অথচ অভুক্ত মা তাঁরই কল্যাণে পথে পথে ডেকে মরে ঈশ্বর! -- আচ্ছা আমি দোষ দেবো কাকে ?
করুণাময়ী মঙ্গলময়ী অভুক্ত মা ? নাকি তার স্বার্থপর ছা ? নাকি এই পাষণ্ড ঈশ্বর ?