ক্লান্ত পরিযায়ী নীড়ে ফেরা এক ফাঁক পাখি,
সন্ধ্যার আকাশ জুড়েই যেন তাদের ছাপোষা জীবনের বিড়ম্বনা,
ক্রমশ প্রকট হয়ে উড়ে চলে দূর থেকে দূরন্তে,
কেশ কালো দিগন্ত রেখার পথ ধরে মায়াবী মেঘমল্লারে।
মোমবাতির নিভু-নিভু নীলাভ প্রদীপ শিখার নীরব মিছিলে,
তারপর আস্ফালকের মতো একে একে সামিল হয়ে যায়,
কালজয়ী মেঘে ঢাকা তারাদের মিলিত ক্ষয়িষ্ণু কালপুরুষ।
নির্মোক আলোকে কয়েকটা সুশীলা ঝিঁঝিঁর মুখে পটি মেরে,
ওরা এক-এক করে কুড়িয়ে নেয় শরীরী রুপ-রস-গন্ধ,
যৌবনের অঙ্গীকার আর একনায়কত্বের জন-গণতান্ত্রিক আমরণ অধিকার।
জলের বুদবুদ ফেটে একটা লালচে হিম-শীতল স্রোত,
রূপালী আলোয় ক্রমশ ফুলে-ফুলে উঠে আবার মিলিয়ে যায়।
ফাঁসির দড়ি হতে বেরিয়ে আসে দমবন্ধের শেষ-নিশ্বাস!,
আজন্মের চিরচেনা পাখির চিৎকার আমাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে মারে।
ল্যাটেরাইট দেখলেই বড় ভয় হয় গো আমার!
হয়তো শিকারের শুরুটা এই রক্তাক্ত মাটির পাটি হতেই!