অভিমানী রাত সেতো শুধুই টিমটিমে সোডিয়ামের আলোয় দেমাকি!
মেঘে ঢারা তারা সেও-তো শুধুই একটুকরো বোবা-কানা জোনাকি!
অখ্যাত পাড়াগাঁ-র ভিনদেশি চপলা-চঞ্চল গোবদা সেই গৃহবধূ তরুণী!
বুকে যার জীবন্ত-ফসিলে জ্বলে ওঠা ক্লান্ত-বিহ্বল বীজগাণিতিক করণী!
মুখে যার দুর্বৃত্তের অম্লান মায়াবী নিদারুণ করুণার আট্টহাসি!
অভিমানী রাতের বুক চিরেই জন্ম তার কলঙ্কিনী পরবাসী!
অথচ রোজ-রাতে চেয়ে দেখি পর্দার আড়ালে পণ্যের নষ্টামি!
সুবিশাল জন-সমুদ্রের বাতিঘরে আজ বাতিকগ্রস্ত মেকী মানব-স্বত্বার ভণ্ডামি।
আসলে কর্দমাক্ত প্রস্ফুটিত শাপলাও আজ অন্ধকার দশায় মূর্তিমান অবিরত!
ফণিমনসার সূচালো পত্রফলকে একমাত্র আলোক-শোষণ! তবুও অন্তর-অলিন্দে লুকানো ক্ষত!
ক্রমশ কুরে কুরে খায় যৌবন-জৌলুসে জ্বলে ওঠা আমার আমিত্বকে!
আর তখনই বোবা-কানা জোনাকি পোকার দল আমার দু-আঙুলের ফাঁকে-ফাঁকে,
হঠাৎ জ্বলে ওঠে। - বারেবার আমাকে প্রশ্ন করে, - হে কবি,
আমার আমিত্বে আমি কি কিছুই নই ? --  আমি শুধু ভাবি,
যে আলো দেহ ভেঙে দেহ গড়ে প্রত্যয়ের হয় অনুসারী!
সেই নির্মোক আলোকে আলোকিত হয়ে কীভাবে আমি হবো আলোর-দিশারী ?