ব্যস্ত শহরের নগ্ন করিডোরের আর্শিতে আজও কান পাতলেই,
শোনা যায়, - ' ধোঁয়া, ধুলো, ধোঁয়াশা! ' -- দেহের কলঙ্ক,
আজ বড় ম্লিয়মান! -- পার্থিব প্রেম, সেতো শুধুই ভার্চুয়াল!
বড় জটিল, অদ্ভুত, রোমাঞ্চকর -- জীবনের এই অঙ্ক!
আর্যভট্টের 'শূন্যতে' শুরু, আর অসীমে শেষ! -- সাফল্যের বিকিকিনি,
আজও মন্দার বাজারে মন্দাকিনী! -- বড় অদ্ভুত, রহস্যময় তাই না?
শরীরী লিপলক, প্রেয়সীর উম ভালোবাসা, যখন ধীরে ধীরে সজীবতা ফিরে পায়!
দু-আঙুলের ফাঁকে সুখটান তখন সবকিছু শুষে নেয়!  -- মুছে দেয় হারিয়েছিলো যা!
প্রেয়সী, এই বেশ ভালো আছি! -- ব্যস্ত শহরের নগ্ন কোলাহলে,
হাজার মানুষের ভিড়ে, কালের তোলপাড়ে, -- একটা নিশ্চুপ বৃক্ষ হয়ে!
একা-একাকী। রঙহীন হাজার ব্যস্ততার মাঝেও, -- ভালোবাসার দিয়া জ্বেলে,
তোমাতে আকন্ঠ ডুবেছি, -- মনডুবুবি হয়ে! - শত ব্যথা সয়ে।
কোনদিন আমার কবিতার অক্ষরগুলো, জ্বলে উঠে, তোমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাইনি!
চিরকাল শুধু কালির আঁচড়ে বয়ে গেছে, -- বিন্দু বিন্দু বীণাপানিতে!
তবুও সিন্ধুতে, কোনদিন কুন্দুলি মানুষী মেলেনি! -- মিলেছে সুকান্তর নন্দিনী!
মিলেছে কপটতার জাদুকরি! - মিথ্যাচার! সম্ভাষণ! -- দেহ কলঙ্কের গ্লানিতে,
তাই বারেবার, ব্যর্থ সার্টিফিকেট বুকে নিয়ে, -- দেখেছি বাংলার মুখ!
-- সেকি অপরূপ, মায়াময়! - অনুরূপ, চিন্ময়! - শান্তালু শান্তির নীড়! - দশচক্রের আস্তানা।
রাজা নেই তবুও রাজনীতি! --- প্রজা সেই! - তবুও পুজো রীতি!
আজ তো কলির সন্ধ্যা: --- দাদা দিদির খুল্লম খুল্লা জামানা!
লুটে নাও, যত যাও! --- " বেটা সাধু বেশে পাকা চোর! "
আর তুমি তো সেখানে সামান্য এক মায়াময়ী! -- আমার মনোহরি ললনা।
ললাটে যে তোমার জ্বলন্ত কালকেতু, ধুমকেতুর শয্যা! -- তুমি তো সেই নির্মলা!
যাকে বুকে নিয়ে আগন্তুক ভবিষ্যতকে স্পর্শ করা যায়! -- অশ্রু বিগলন হয় বটে!
তবুও অসীম শান্তি তোমাতে! -- হে ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত নারী,
আঙুলের ফাঁকে যেখানে জোনাকি অহংকারী! সেখানে তুমিতো নিমিত্তমাত্র!