আজও তো সেই পাগলটা ঘুরে বেড়ায়,
মুখে বিড়বিড় করা আওয়াজ নিয়ে
কিচ্ছুটি বোঝা যায় না।
সেই এক মুখ দাড়ি আর
চোখের কোণে জমে থাকা
এক বিন্দু রক্ত, কতটা অসহায় সে।
লোকারণ্য স্টেশনে লাথি খেতে খেতে
শুধু ধুলো মাখে আর স্বপ্ন দেখে।
দীর্ঘদিন না খাওয়া পেটে
সুনামি ওঠে বারবার, তবু সয়ে গেছে।


রঙিন সভ্যতা ঢিল ছুঁড়ে যাচ্ছে অনায়াসে
খোলা আকাশের নিচেও বাঁচা যায়,
নর্দমা আজও বেঁচে আছে শহরেতে
বাসি খাবারের প্যাকেটটায়।
কনকনে শীতের সকালে
এক ঝাঁক কালো কাক রক্তাক্ত করে তাকে,
চায়ের ডাস্টবিনে এক টুকরো
কালো বিস্কুটই তার খালি পেটে ছবি আঁকে।
এভাবেই কেটে যায় অনেকটা বছর
দীর্ঘদিন অনাহারের লাইনে অপেক্ষাতে,
একটা রাতে প্রাণটা বেরিয়ে গেলে
একদল কুকুর মহানন্দ করতে থাকে।