জীবন পথের পথিক আমি
চলছি সারাক্ষণ,
মৃত্যু কাছে ঘণ্টা বাজায়
আনমনা হয় মন।
হঠাৎ মনে শক্তি আসে
লড়াই করতে প্রাণ জাগে,
পরাজিত মন করুণ সুরে
প্রাণ বাঁচানোর ভিক্ষা মাগে।
এ পথ আঁকাবাঁকা বেশি
সরলের দেখা নেই,
মাঝে মাঝে আছে গর্তের বাহুল্য
জমে থাকা জলের ঠিকানা পাই।
হঠাৎ পথটি আবছা দেখি
বাধা হয়ে রয় মায়া,
দিনের আলো ম্লান হয়ে যায়
ঘনীভূত হয় ছায়া।
কারো সাথে থাকি মিলেমিশে আমি
বাধা হয়ে রই কারো কাছে,
তাইতো তারা অবজ্ঞা করে
অসন্মান করে পাছে।
অন্ধকার ঘরে বসে থাকা
তীব্র মনের যন্ত্রণা
কিছু ত্রুটি কিছু বিফলতা
কানে আসে নিয়ে মন্ত্রণা।
এ জীবন চায় না বিফলতা
চায় বড় কিছু,
কেউ তা বোঝেনা
প্যাঁচানো কথা চলে পিছু পিছু।
চোখে আসে জল
শুনে কারো রক্তাক্ত মুখোবানী,
প্রাণ কেঁদে ওঠে
যেন না হয় তোমার জীবনহানি।
কখনো ভাঙ্গে স্বপ্ন
কিছু জানা অজানা মুহূর্তের অবকাশে,
গড়তে লাগবে সময়
মাঝে কেউ অট্টহাস্য হাসে।
এ জীবন তো এক নাটকের পটভূমি
চোখের জলেতে গড়া,
কখনো বা যদি আসে সুখ
তাও দুঃখের মড়কে মোড়া।
তবু এ জীবন নয় প্রস্তুত
শেষ হতে মরণের হাতে
রূঢ় বাস্তবের
তীব্র আঘাতে।
__________কবিতাটি ২০০৬ এ লেখা।