তুমি নির্দয়,তুমি কুৎসিত
তুমি রাক্ষস রাজা,
তোমা হতে মুখ ফেরানোর নেই উপায়
রেখেছো করে যে প্রজা।
ওই যে তোমার বক্ষে
শিমূল গাছের গোড়ায়,
বানানো যমরাজের মূর্তি
শতশত প্রাণে তোমার বক্ষ ভরায়।
তুমি কতজনে কেড়েছো
সেই মুখ, সেই দেহ চেনা,
রক্তচক্ষু চিতার উপর
সবকিছু করো অচেনা।
আমি কত খুঁজেছি শ্মশানঘাটে
আকাশের দিকে চেয়ে,
সেই চেনা মুখগুলো যদি হাসে
কথা বলে প্রিয়কে পেয়ে।
যখন কেটে যায় আবেগ
তীব্র রুদ্ধশ্বাস ফেলে উঠে,
দেখি কাক আসে ঝাঁকেঝাঁকে
অবশেষে অবয়ব খায় খুঁটে।
দেখি সিঁদুর মাখানো খাট
লেপবালিশে ভিখারীটা ঘুমিয়ে পড়ে,
কোনো মানুষের হাত চ্যুত হয়
সেই ভিখারীর রক্ত ঝড়ে।
স্মৃতিময় আগুন শুধু সাদা ধোঁয়া
রজনীগন্ধার সুবাস থামে না,
একাকী শ্মশান শুধু শূন্যতা
পলিথিনের কান্না থামে না।
কেউ আসে করতে দাহ
একমুঠো ছাই ফিরে পায়,
শান্তির নীড় গড়ে দিতে চায়
ফুলঘর দিয়ে যায়।
আছে কত বিভৎস কাঠের গুঁড়ি
এলোমেলো উল্টানো মাটির কলসী,
আছে সারি সারি বানানো ছাইয়ের দেহ
কেঁদেই চলেছে ফেলে যাওয়া তুলসী।
এ যেন সেই প্রিয়
গাছ হয়ে কথা বলে,
কত স্মৃতি ভিড় করে আসে
চোখদুটি ভরে জলে।
আরও কত আছে স্মৃতি
শেষ হয়ে গেছে জ্বলে,
কোথা থেকে এসে দেখি একটি কুকুর
ঝলসানো হাড় টেনে নিয়ে চলে।
সবাই তোমায় বলে নাকি
তুমিই পবিত্র ভূমি,
আমি চাইনা তোমায়
হে ভগবান,ফিরাও সে কবরের জমি।
------------কবিতাটি ২০০৯ সালে লেখা।