হাতের তালুতে উষ্ণতা নিয়ে
কান্না চেপে মুখে ফুটিয়েছো মৃদু হাসি,
ভাবছ জীবনের খেলাটা জিততে চলেছ,
অথচ তাকিয়ে দেখো আয়নাতে
কি বীভত্স গ্লানি তোমায় গিলছে প্রতিনিয়ত l


কণ্ঠ অবরুদ্ধ,
বিবেকে  বিষধরের দংশন,
শাড়ির ওপারেও তুমি নগ্ন অথচ কতো রঙ্গিন আবরণে ঢাকতে চাইছো শরীর,
ভাবছ জীবনের খেলাটা জিততে চলেছ,
মাথায় অবিরাম শিলাবৃষ্টি
জিরাফের মতো গলা বাড়িয়ে প্রস্ফুটিত বিষাক্ত ক্ষত l


আগুনকে ছুঁয়েছ বহুবার
কখনও দাবানল জ্বলেছে বুকের ভেতর ??
ঠোঁটের তুরুপে চুম্বন পেয়েছ,
ফ্রীজের জমা বরফ চেপে ধরে হিমালয়ের অনুভূতি চেয়েছ
ভাবছ জীবনের খেলাটা জিততে চলেছ,
সমস্ত শহর জুড়ে প্রবল অগ্নিবৃষ্টি
কি করে ঢাকবে নিজেকে,
কোথায় পাবে এতবড় শামিয়ানা ??


কল্পনা কে বাস্তব
আর বাস্তবকে জাদুকরের পায়রা ভেবো না,
লাল নীল মোড়কের আড়ালে
খুঁজে পাবে বিদগ্ধ ছেঁড়া ধর্ষিত রক্তমাখা শরীর,
ভাবছ জীবনের খেলাটা জিততে চলেছ,
মন জুড়ে পাপের সাম্রাজ্য গড়ছ নিজের অজান্তে
অথচ দেশলাই কাঠি বারুদহীন,
পাবে না আগুনের কনা l


আরও ভেজো বৃষ্টিতে,
আরও পোড়ো অগ্নিবৃষ্টিতে,
রূপের অহংকার চূর্ণ করে দাও কালাপাহাড় সেজে,
মাটির দিকে তাকিয়ে দেখো
হেরে গিয়েও জেতা যায়,
মরে গিয়েও বাঁচা যায়,
ফুসফুসকে আরও প্রসারিত করো
পৃথিবীর সমস্ত বিষ টেনে নাও,
মিথ্যের আবরন খুলে একবার আয়নার সামনে এসো l


প্রতিবিম্বের অট্ট হাসিতে ভুলে যেওনা তুমি নারী,
তোমার গর্ভ হতে সমস্ত মানব জাতির জন্ম,
তুমি জিততে চাইছ এখনো ??
অথচ কতবার তুমি হেরে গেছো
মোমবাতির মতো গলে পড়েছ আমার নাভিতে,
অপমান-ফিসফাস-বদনাম মুছে
কান্না থামিয়ে আবার নতুন করে আমাকে ভালবাসো l