শঙ্খ ধন্বী কে বাজবে,
পুষ্প ডালা কে সাজাবে
নিভে যাওয়া প্রদীপ খানি,
জ্বলাবে গো কে ?
মরু মাঝে ছুটে ফিরি
ছিন্ন কণ্ঠে কেঁদে মরি-
ভাঙা বুকে বসে আছি,
জানি আসবে না ফিরে
তোমার এই পূজার মন্দিরে !


গভীর রাতে স্বপ্নে যখন দেখি-
এলো চুলে, পায়ে আলতা রাঙা সাজে
পুষ্প সাজি শঙ্খ নিয়ে হাতে,
কমল পায়ে নূপুর ধ্বণী বাজে।
ভোরের পাখি ঘুম ভাঙাল
স্বপ্ন গেল পাটি,
দেখতে পেলাম ঊষার আলোয়-
কমল পায়ের নূপুর গেছে ছুটি।
তোমার এই পূজার মন্দিরে !


ফুটবে আবার দোলন চাঁপা
পরবে মনে তোমার কথা,
স্মৃতি গুলি ভাসবে চোখে
দেখব শুধু সন্ধ্যা তারা।
ঘটের ওপর নেইকো শাখা
চন্দন পিড়ে সবই ফাঁকা,
ধুপ-দানিতে নেইকো ধুপ
ধুনোর সুবাস সেও চুপ।
তোমার এই পূজার মন্দিরে !


এ কেমন বিচার বলো ?
করলে কেন এলো মেলো,
তোমার স্মৃতি চোখে ভরি-
মন্দিরেতে কেঁদে মরি।
কেমন করে করবো পূজা ?
দিলে কেন এমন সাজা !
কোষা কুশি যাচ্ছে গড়ি,
কেমন করে ঘণ্টা ধরি।
তোমার এই পূজার মন্দিরে !


সন্ধ্যা নেমে আসত যখন
সাঁজের বেলায় তুলসী তলায়,
হাতে নিয়ে ধূপের দানি
আঁচল ঢাকা শঙ্খ খানি।
হৃদয় মাঝে স্মৃতির জ্বালা
রাখবো ধরে অশ্রু চেপে !
নিদ্রা হীনে দেখি যখন
হোম শিখা জ্বলছে না যে।
তোমার এই পূজার মন্দিরে !


অশ্রু হারা কঠিন আঁখি
যন্ত্রণা দেয় সর্বক্ষণে !
রাখব ধরে স্মৃতিটুকু
বেদন ভরা পাষাণ মনে !
হারিয়ে গেল তোমার সুবাস
বাতাস হল সাথি,
মৌন ভাষা উগ্র ব্যথায়
একলা বসে কাঁদি।
তোমার এই পূজার মন্দিরে !