আমার বয়স তখন‌ ৫ (পাঁচ) বৎসর আমি ১৩১৪ নং সালেপুর পাঠশালা প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হই ক্লাস 'ক' মান এ , এরপর ধীরে ধীরে ক্লাস পাশ করে ভর্তি হলাম স্বর্ণ লক্ষ্মী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নরসিংহপুর ক্লাস (৫)পঞ্চম শ্রেণীতে।
এরপর ২০১৪ ইংরেজিতে মেট্রিক পরীক্ষা পাশ করে, ওই ইংরেজিতেই আমি আবার ভর্তি হই ক্লাস এইচ এস প্রথম বর্ষে । এরপর হাইয়ার সেকেণ্ডারী পরীক্ষা পাশ করি ২০১৬ ইংরেজিতে,‌ ওই ইংরেজিতেই আমার প্রথম ভর্তি জনতা কলেজ কাবুগঞ্জ এ , আমার কলেজ ভর্তির তারিখ ২৫-০৬-২০১৬, ক্লাস টি.ডি.সি. প্রথম বর্ষে বাংলা অনার্স কোর্স নিয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র হিসেবে ; অনেক সুন্দর কাটছিল আমার কলেজের ছাত্র জীবন । কলেজের বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব তাই আমাকে দিয়ে দিতেন আমাদের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সীমা ঘোস ম্যাডাম , আমিও আমার একনিষ্ঠা ভাবে আমায় দেওয়া দায়িত্ব তাই আমি পালন করতাম; কলেজের স্যার এবং ম্যাডাম সবই আমাকে নিজের ছেলের মতো ভাবতেন , এমনকি কলেজের অফিস স্টাপরাই আমাকে নিজের ছোট ভাই হিসেবে মানতেন , এবং সময় বিশেষে অনেক বকাও খেয়েছি কলেজের স্যার এবং ম্যাডাম ও অফিস্টাপ থেকে, যেরকম বকাও খেয়েছি ঠিক সেইরকম অনেক ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি সবার কাছে । আর আমি জনতা কলেজেরই ছাত্র সংসদের মধ্যে ছিলাম আমার জায়গাটা হল 'মিউজিক সেক্রেটারি' আমি নিজে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি যে আমি জনতা কলেজ কাবুগঞ্জ এর ছাত্র।
           আমার লেখা-লেখি শুরু হয় ক্লাস অষ্টম শ্রেণী থেকে আর আমি মধ্যে মধ্যে লিখতাম ।আর একদিন হঠাৎ আমার সামনে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে তখন আমি ছিলাম ক্লাস এইচ এস প্রথম বর্ষে  সুবর্ণ সুযোগটি হল 'পল্লীশ্রী' তখন স্কুলের ক্লাস রুমে রুমে নোটিশ এল যে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা ইচ্ছুক পল্লীশ্রী এর মধ্যে নিজের লেখা কবিতা, গল্প, ছড়া ইত্যাদি দিতে পারবে,আর তখনি আমার মনের মধ্যে ওই কথাটা এল যে আমি আমার লেখা কবিতাটি 'পল্লীশ্রী' এর মধ্যে দিতে পারি আর মনে ভয়ও ছিল যে যদি নির্বাচন না হয়? এরপর যখন 'পল্লীশ্রী' প্রকাশিত হয় ২০১৫ ইংরেজিতে, সঙ্গে সঙ্গে আমি 'পল্লীশ্রী'টি খুলে দেখতে লাগলাম যে আমার লেখা কবিতা নির্বাচন হল কি না ? এরপর পল্লীশ্রী এর পাতাগুলো উল্টে পাল্টে দেখলাম যে আমার লেখা প্রথম কবিতা 'পল্লীশ্রী'তে প্রকাশিত হয়েছে।
আমার লেখা প্রথম কবিতাটি হল 'মা' এই কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত বিদ্যালয় মুখপত্র 'পল্লীশ্রী'র দ্বারাই।
আমার প্রথম লেখা কবিতাটি হল:- 'মা'
মা হল ভগবান
মার কাছে পেলাম প্রাণ ।
মায়ের মত এত আপন
নাই যে কোন আত্মীয়-স্বজন ।
মায়ে বুঝে সন্তানের ব্যাথা ।
মা না হলে যে জীবন বৃথা ।
মা যে হল অমূল্য ধন
খুশি রেখো সদা তাঁর মন ।
মা যে হল আসল রত্ন
তাই মায়ের কর যত্ন ।
মায়ের আদেশ করা কর্ম
এটাই হল মূল ধর্ম ।
মায়ের যদি থাকে আশির্বাদ
পুরবে নিশ্চয়ই মনের স্বাদ
পূজা কর মায়ের চরণ
তবেই হবে সার্থক জনম।
               -  মুন্না নাথ
                  এইচ এস, প্রথম বর্ষ
                  'পল্লীশ্রী' বিদ্যালয় মুখপত্র
                  পৃষ্ঠা সংখ্যা:-৪১
এরপর বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক প্রভাসচন্দ্র নাথ মহাশয়ের হাত ধরেই সাহিত্য জগতে প্রবেশ । পরবর্তীকালে সাহিত্য সম্পর্কে সঠিক পথনির্দেশ করেছেন আমারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সীমা ঘোস ম্যাডাম, এবং বাংলা বিভাগেরই অন্যান্য স্যার ও ম্যাডাম :- ড.সুদিপ্তা খেরসা ম্যাডাম, ড.পিনাকী দাস ম্যাডাম, ড.বন্দনা দত্ত চৌধুরী ম্যাডাম, ড.দ্বৈপায়ন দত্ত বিশ্বাস স্যার ,
তারপর বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক রূপরাজ ভট্টাচার্য মহাশয় শিলচর  আরিয়ান জুনিয়র কলেজের বাংলা বিভাগের স্যার উনার কাছে আমি বাংলা অনার্স কোর্স নিয়ে টিউশন করতাম, তখন সাহিত্য সম্পর্কে অনেকটাই শিখেছি ;
বর্তমানে আমি আমারি মিউজিক স্কুলে তবলা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করছি, মিউজিক স্কুলের নাম 'রাখীশ্রী সঙ্গীত বিদ্যালয় নরসিংহপুর ১ম খণ্ড ( সালেপুর), স্কুলের ফেসবুক পেইজ ও স্কুলের ওয়েবসাইট এ চেক করতে পারেন ‌। আর আমি হলাম আমার মা-বাবার জ্যেষ্ঠ পুত্র ।


পিতা- মিণ্টু কুমার নাথ । ( সরকারি চাকরি)
মাতা- রাখী নাথ । ( গৃহবধূ )
ভাই- মিকন নাথ । (ছাত্র)
বোন- রশ্নি নাথ । (ছাত্রী)
জন্মস্থান:- সালেপুর (নাথ বাড়ি)
জন্ম:- ১৩ - ফেব্রুয়ারি - ১৯৯৮
পেশা:- প্রাইভেট শিক্ষক বাংলা ,তবলা শিক্ষক, লেখক
শিক্ষাগত যোগ্যতা:- বিএ বাংলা অনার্স, ডি.এল.এড , সংস্কৃত ভাষা, তবলা বিশারদ লখনউ,তবলা বিশারদ বঙ্গিয়