আলাপন
~অদিতি চক্রবর্তী
--------------
রোজ নদী বলে ওঠে আসবে তো একদিন?
দেখা হবে জোৎস্নায়,রোদ্দুরে।
কেঁপে কেঁপে নামেওঠে জল পাহাড়ের গা'য়
তারপর,তালগাছ ছুঁয়ে ওই দূরে--
আমি এক সম্ভাবনার পথে হাঁটি
রঙিন করি দুই ঠোঁট
হঠাৎ আওয়াজ পেয়ে পেছনে দেখি
দেওয়ালে জাপটে থাকা ক্যালেন্ডারের
তারিখেরা ওলোটপালট।
সামনে দাঁড়িয়ে দেখি,লাল,সবুজ,কালো
সব,স-ও-ব, তুমুল রকম এলোমেলো
কখন নদীর কাছে যাবো? কতটা সময় পাবো?
থইথই জল মাখা আঙুলের ডগা
ফাঁকি দিতে পারবে তো পুলিশ,দারোগা?
কিছুতেই মেলেনা তারিখ
সরে সরে যেতে থাকে ভাটার টানে!
নদী কি জানোনা তবে জোয়ারের মানে?
তবে কেন বরণের কুলোটা সাজাও?
সাগরের চোখে কেন সুরমা লাগাও?
নদী যদি আমাকেও ঠিক সেইভাবে
একদিন একান্তভাবে নিজের বানাবে--
তবে দরজাও খুলে যেতো হাট
রাস্তা এগিয়ে সরে যেতো চৌকাঠ
বোবা হতো ক্যালেণ্ডারের পাতা
তারিখেরা অন্তমিলে লিখতো কবিতা
সবুজ কালির যা যা ঘর
বসে যেতো নিমন্ত্রণ নিয়ে পরপর
ওই পাশটিতে বসে জলসই পা
ধীরে ধীরে নুইয়ে দিতো সবটুকু গা
ভাটাটানে পিছুফেরা লেখা হতোনা
সাগরের বহুনদী খেলা কতোনা!
এ্যায় নদী শুনছো গো, এইবেলা থাকো
বিরহের জ্বালা বড়ো,প্রেয়সী কে ডাকো।