ও পাহাড় আগুন দাও
নদী বইতে সময় যায়।
কষ্ট হলে কি করো তুমি?
গুম হয়ে যাও? রেগে ওঠো তুচ্ছ কথায়?
হাসিমুখে আড়ি দাও?
আমার ঠিকানা বদল হওয়া অপরাহ্ণ আকাশটাকে অশোভন করে চাও?
জানোতো পাহাড়,
আমি তোমার সংসার ডিঙিয়ে
প্রতিনিয়ত গুটিয়ে চলেছি পাততাড়ি।
পাখির জীবন,আকাশের খিটিমিটি,কৃষ্ণচূড়ার আলস্য নিয়ে
আমার কাজলরেখা বনবাড়ি।
রাগ রেখোনা পুষে,ও পাহাড়
সম্পর্কে দূরত্ব ধরে রাখে ঝাউপাতা ছায়ার আঁধার।
পাথুরে নির্জনতার কোনোদিন প্রতিপক্ষ থাকেনা
হেরে গেলে ক্ষতি কি আমরা তো জন্ম থেকে চেনা!
বৃষ্টি হলে একে অন্যকে না তাকিয়েও আশ্রয়ের আকারে
নিয়মভাঙার বাজি তুমিই জিতেছ সব উপসংহারে।
তরল শিশু সুলভ ছলাৎছল আমার অস্তিত্বের দিব্যি,অভ্যাসের হাতেখড়ি।
আয়োজন করে তুমিই বিদায় জানিয়েছো পাহাড়
আজকে তবে নতুন বসত,নতুনভাবে গড়ি।