হিম হিম কার্তিক মাস,সবটা দখল
কালীপূজার মেলা হৈ হৈ বন্ধুমহল।
নাগরদোলার পাশে মরণকূপের খেলা
রাস্তার ওপারেতে সার্কাস তাঁবু মেলা
কচিকাঁচা, বুড়োবুড়ি,প্রেমিকের জুটি
অপ্রেমিক হাতে ধরে দোকানের খু্ঁটি
ধোঁয়াওঠা মোগলাই, মোমো,ভেলপুরি,
পাঁশকুড়া চপ খেয়ে হাঁসফাঁসে  ভুঁড়ি
"কুছ তো পরোয়া নেহী" এসো দঙ্গল
একদিন যাওয়া চাই  বন্ধুমহল।
ম্যাজিকশো শেষে,পুতুল নাচ শুরু
বাইরে সুতোর প্যাঁচে ট্রেলার চলছে গুরু
ওদিকে বছর পাঁচ বন্দুকে তাক
বেলুন ফাটায় যেন এক করে রাগ
ফুটফুটে পরী এক খিলি পান খান
মুখের থেকেও বেশী ফ্রকেতে মাখান।
কতশত রঙ্গ বাজিয়ে বগল
বিকেল হতেই হাঁটে বন্ধুমহল।
পচা,ঘেঁটু, ন্যাবা কাপপ্লেট ধুতে ধুতে
আড়চোখে দেখে ষোড়শীর ফুটফুটে
বেতের চেয়ারআলা দরকষে চেপে
শুরুতে যা দাম ছিলো কমাততে তা মেপে
ছুরি,বটি,কাঁচি, মেলা থেকে কেনা চাই
মাসিমার দল বসে ঘেঁটে দেখে তাই।
মেঘ জমিয়েছে মনে?চোখে জল?
চল্ তবে ঘুরে আসি বন্ধুমহল।
ঠাকুমাও বসে জলশঙ্খটা পাছে
হাতছাড়া হয়, তাই দোকানির কাছে
ছেলে গেছে বৌমারগয়না দোকানে
মায়ের গোপাল,শঙ্খটা পিছুটানে।
গাছ, মাছ আছে, টয় ট্রেনটাও নাচে
পিকলুটা খোলা মাথা ঠাণ্ডায় হাঁচে
আঁকড়িয়ে প্লেটভরা মিষ্টি ও ফল
ফিবছর আসা তবু বন্ধুমহল।